সার্ভেয়ার বা জরিপকারী সংক্রান্ত তথ্য দিতে সাধারণ বীমা বা নন-লাইফ কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
গত ২২ আগষ্ট আইডিআরএ সদস্য নব গোপাল বণিক স্বাক্ষরিত এক সার্কুলারের মাধ্যমে এসব তথ্য চাওয়া হয়।
সকল সাধারণ বীমা কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) দেওয়া ওই সাকুলারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সকল সাধারণ বীমা কোম্পানির তালিকাভুক্ত সকল সার্ভেযারের সংক্রান্ত তথ্যাদি আইডিআরএ নির্ধারিত ছকে আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্তৃপক্ষের বরাবর পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
একই সঙ্গে যে সকল অনুমোদিত সার্ভেয়ার কোম্পানিকে সার্ভের কাজ দেওয়া হয়নি তাদের নাম ও তথ্যাদিও সংযুক্ত করতে বলা হয় ওই সার্কুলারে।
এছাড়া পরবর্তীতে ছয় মাস অন্তর অন্তর ১৫ জুলাই ও ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সার্ভেয়ার সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিতভাবে আইডিআরএ’র কাছে জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, অগ্নি, নৌ-হাল্ক, নৌ-কার্গো, মটর, এভিয়েশন সংক্রান্ত বীমার বিপরীতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বীমা কোম্পানির কাছে বীমা দাবি অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ চাইলে সার্ভেয়ার বা জরিপকারী তা যাচাই-বাছাই করে। জরিপকারী প্রতিষ্ঠান জরিপকারর্য্য সম্পাদনের পর বীমা কোম্পানির কাছে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়ে এবং এর বিপরীতে কি পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে তা রিপোর্ট আকারে পেশ করে।
এর ভিত্তিতেই বীমা দাবি বা ক্ষরিপূরণের দাবির বিষয়ে বীমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে।
সার্ভেয়ারের কাজ করার জন্য সার্ভেয়ার প্রতিষ্ঠাগুলোকে বর্তমান আইডিআরএ ও সাবেক বীমা কর্পোরেশন থেকে অনুমোদন নিতে হয়।
তবে অভিযোগ রয়েছে, সার্ভেয়ার কোম্পানিগুলো কোম্পানির সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সার্ভের কাজ পাওয়ার জন্য গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার চেয়ে বীমা কোম্পানির স্বার্থই বেশি রক্ষা করে থাকে। এতে করে বীমা দাবির বিপরীতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না বীমা গ্রহীতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
আর এ সকল অনিয়ম রোধে আইডিআরএ‘র নজরদারি বাড়াতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে।
বীমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরণের সমস্যার সমাধানে কোন ধরনের বীমা দবীর জরিপ কোন জরীপকারী প্রতিষ্ঠান করবে তা নির্ধারন করে দেওয়া প্রয়োজন। সাধারণ বীমা কোম্পানি থেকে তথ্য নেওয়ার পাশাপাশি জরিপকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে থেকে জরিপ বিষয়ক তথ্য কাঠোরভাবে নজরদারী করা প্রয়োজন।
যা বীমা দাবির বিপরীতে জরিপকারী বা সাভেয়ার প্রতিষ্ঠানের জরিপ বিষয়ক অনিয়ম আরো কমিয়ে আনতে পারে। একই সঙ্গে গ্রাহকের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে আরো জোরালো ভুমিকা পালন করবে বলেও মনে করছেন তারা।