মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ী যে স্কোরলাইনের এমন দশা করবেন, সেটা ম্যাচের ৭০ মিনিট পর্যন্তও বোঝা যায়নি!
নেইমার-এমবাপ্পের একটা করে গোলে ততক্ষণে পিএসজি ২-১ গোলে এগিয়েই ছিল। এরপর কী হলো, কে জানে! পরের ১২ মিনিটের মধ্যে দুজন আরও দুটি করে গোল করলেন। ক্লেরমঁ ফুতের গোলকিপার আর্থুর দেসমোস বারবার জাল থেকে জড়ানো বল ফিরিয়ে আনতে আনতে হাঁপিয়ে গেলেন কি না, সেটাও জানা যায়নি। তবে নেইমার-এমবাপ্পে কিংবা মেসি যে গোল করা-করানোর কাজে বিন্দুমাত্রও হাঁপিয়ে যাননি, তা স্কোরলাইনেই স্পষ্ট।
ক্লেরমঁ ফুতকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে পিএসজি। হ্যাটট্রিক করেছেন নেইমার ও এমবাপ্পে। মেসি গোল না পেলেও, তিনটি গোল করিয়েছেন। ফলে গোলসহায়তার দিক দিয়ে হিসেব করলে ‘হ্যাটট্রিক’ হয়ে গিয়েছে তাঁরও!
ক্লেরমঁ ফুতের হয়ে সান্ত্বনার গোলটা পেয়েছেন বেনিনের ফরোয়ার্ড জাদেল দোসু। জোড়া হ্যাটট্রিক করে ২০১৯ সালের এক স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছেন নেইমার-এমবাপ্পে। সেবার নিজেদের মাঠে লেস্টার সিটির কাছে ৯-০ গোলে হেরেছিল সাউদাম্পটন। হ্যাটট্রিক করেছিলেন দুই সতীর্থ – স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আয়োজে পেরেজ ও ইংলিশ স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডি। এরপর গত তিন বছর একই ম্যাচে দুই সতীর্থ হ্যাটট্রিক পেয়েছেন, এমনটা হয়নি। নেইমার-এমবাপ্পের কারণে সে স্মৃতিও ফিরে এল।
ম্যাচের ৬ মিনিটেই মেসির সহায়তায় দলকে এগিয়ে দেন নেইমার। ১৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে, ওই মেসির সহায়তা থেকেই। ৪২ মিনিটে ব্যবধান কমায় ক্লেরমঁ। কিন্তু তাঁদের প্রতিরোধ ওটুকুই ছিল। ৫৯ মিনিটে মেসির সহায়তায় নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়েই যাচ্ছিলেন নেইমার, কিন্তু একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় শট।
তবে এই আক্ষেপ বেশিক্ষণ পুষে রাখেননি এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ৭১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন পিএসজিকে। পিএসজিও যেন গোল করার রাস্তা আরোও নতুন করে খুঁজে পায়। তিন মিনিট পরেই এবার এমবাপ্পেকে দিয়ে গোল করান নেইমার।
মেসির সহায়তায় ৮০ মিনিটে আবারও গোল পেয়ে যান এমবাপ্পে, পূরণ করেন নিজের হ্যাটট্রিক। বাকি ছিল শুধু নেইমারের হ্যাটট্রিকটা, সেটাও চলে আসে তিন মিনিট পর। আর তাতে সাহায্য করেন এমবাপ্পেই। ৬-১ গোলের বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি। মেসি গোল পাননি, ম্যাচের একমাত্র আক্ষেপ এটাই।