প্রাণঘাতী রোগ করোনায় শুক্রবার বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৩ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৫৯৩ জন। এছাড়া এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৬ জন।
মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। শুক্রবারও অন্যান্য দেশের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া; আর কোভিডজনিত অসুস্থতায় এ দিন সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার ২৮৯ জন এবং এ রোগে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৭৩ জনের। অন্যদিকে এইদিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডজনিত অসুস্থাতায় মারা গেছেন ৪০৪ জন এবং করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ২৮৫ জন।
বিশ্বের আরও যেসব দেশে মঙ্গলবার সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব দেশ হলো— জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫৪ জন, মৃত ৩৩৬ জন), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬৮ জন, মৃত ১৩৯ জন), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ৬৬ হাজার ৫৩৫ জন, মৃত ১৪৪ জন), অস্ট্রেলিয়া (নতুন আক্রান্ত ৫৯ হাজার ২৯ জন, মৃত ৩১ জন), যুক্তরাজ্য (মৃত ৩৪৭ জন, নতুন আক্রান্ত ২৫ হাজার ৩০৫ জন) রাশিয়া (মৃত ২৮০ জন, নতুন আক্রান্ত ১৪ হাজার ৩১১ জন), ব্রাজিল (মৃত ১৪৭ জন, নতুন আক্রান্ত ২৯ হাজার ৫৭৫ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ কোটি ৮১ লাখ ৬১ হাজার ৮১৫ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৫ কোটি ৮১ লাখ ৭ হাজার ৩৪২ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৫৪ হাজার ৪৭৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।