হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে দুর্নীতি ও গাফিলতি আছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, হাওর, আগাম বন্যা, বাঁধ এই তিনটি বিষয়ে সরাসরি আমার অভিজ্ঞতা আছে। কারণ আমি হাওর এলাকার সন্তান, এখানে বড় হয়েছি।
তিনি বলেন, বন্যা কোনো বছর আসে, কোনো বছর আসে না। এটা প্রাকৃতিক ব্যাপার। এটা কোনো মানুষের নিয়ন্ত্রণে নয়। তবে প্রতিবছর আমরা ফসল রক্ষা বাঁধের জন্য প্রকল্প হাতে নিই। কোনো বছর পানি আসে, কোনো বছর পানি আসে না।
এম এ মান্নান বলেন, ২০১৭ সালের কথা আমার পরিষ্কার মনে আছে। তিন দিনের মধ্যে সারা সুনামগঞ্জের হাওরগুলোর ধান ডুবে মালদ্বীপ হয়ে গিয়েছিল। এ বছরও পানি এসেছিল কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এই পানি দিরাই, ধর্মপাশা, তাহিরপুর উপজেলায় ধানের কিছু ক্ষতি করছে। আগামী এক সপ্তাহ যদি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না আসে তাহলে সুনামগঞ্জের মানুষ পুরোদমে ধান কাটতে পারবে বলে আশা করি।
তিনি বলেন, হাওর এলাকায় বোরো ধান ঝুঁকির মধ্য দিয়ে করতে হবে। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে যদি ফসলের সময়সীমা কমানো যায় এবং আরও আটদিন আগে ধানটা পাকানোর জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে কিছু বের করা যায় তাহলে হাওর অঞ্চলের জন্য কিছুটা ফায়দা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে দুর্নীতি আছে, গাফিলতি আছে, অস্বীকার করছি না। বাঁধের কাজে প্রশাসনিকভাবে, প্রকৌশলগতভাবে গাফিলতি এবং পিআইসিদের দুর্নীতি এটা খুব পরিচিত বিষয়। তবে প্রশাসনের লোকদের আরও কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। আমি মনে করি, এখন দোষারোপ না করে সবাই আমরা কৃষকদের পাশে দাঁড়াই।