চলতি ২০২১–২২ অর্থবছরের শেষে দেশে মূল্যস্ফীতি তথা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে বলে মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদে পেশ করা ২০২১-২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণসংক্রান্ত প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়তে পারে। তবে অর্থবছরের শেষে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক বাজারে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার বিষয়টিকে সরকার বিশেষ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে উঠেছে। এই হার গত জুলাই মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছর আমাদের সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয় বছর। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে করোনাভাইরাসের দীর্ঘায়িত প্রভাব মোকাবিলা, ২০১৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও দ্বিতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) বাস্তবায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও লক্ষ্যসমূহ অর্জনের প্রয়াস আমরা অব্যাহত রাখব।’
অর্থমন্ত্রী তার প্রতিবেদনে আরও বলেন, করোনা অতিমারি মোকাবিলায় সরকার কর্মসংস্থানের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছে। চলতি অর্থবছরে বিদেশে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা, শোভন কর্মপরিবেশ ও সুস্থ শিল্প সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রমিকদের দক্ষতা ও কারখানার উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক, কর্মপরিবেশ, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, শ্রম আইন ও বিধিমালা এবং শ্রমিকদের অধিকার, দায়িত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।