প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাকর্মীরই ঈদ কাটবে কারাগারে। ঈদের আগে তাদের মুক্তির আপাতত কোনো সুযোগ দেখা যাচ্ছে না। এদের মধ্যে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের প্রভাবশালী বেশ ক’জন মন্ত্রীও রয়েছেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মতো এক সময়কার দাপুটে নেতা।
আর জামায়াত নেতাদের মধ্যে কারাগারে আছেন দলটির আমীর ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা, রাজশাহী মহানগর জামায়াত আমীর আতাউর রহমান প্রমুখ।
এদের মধ্যে বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু ও নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু এবং জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাবেক সাংসদ হিসেবে কারাগারে বিশেষ মর্যাদা (ডিভিশন) ভোগ করছেন।
গত কয়েকটি ঈদ কারাগারেই কেটেছে তাদের।
এদের বাইরে বিভিন্ন জেলা কারাগারে আরও উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক নেতা-কর্মীর ঈদ কাটবে এবার।
ঈদের দিন যার যার পরিবারের সদস্য এসব নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। তবে ঈদের দিন তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের দলীয় কোন পরিকল্পনার খবর পাওয়া যায়নি।
কারাবন্দি নেতাদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘দলের তেমন কেউ জেলে নেই’ বলে জানান বাংলানিউজকে। এক্ষেত্রে অবশ্য তিনি সাম্প্রতিক মামলায় আটকে থাকা নেতাকর্মীদের কথাই বুঝিয়েছেন।
কারাবন্দি নেতাদের প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেন, “তারা এখনও তো জেলের ভেতরেই আছেন। তাদের ব্যাপারে কিছুই করা যায়নি। তবে সাম্প্রতিক মামলাগুলোতে যারা আটক ছিলেন তাদের তেমন কেউই এখন জেলে নেই, বের করে আনা হয়েছে।”
একই প্রসঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বাবর ও পিন্টুর ব্যাপারে সরকার মানবিক দিকটি একটুও বিবেচনায় নেয়নি। বছরের পর বছর তাদের জেলে আটকে রেখেছে। অথচ তাদের অপরাধও এখনও প্রমাণ হয়নি। প্রতিবছর তারা ঈদের খুশি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”