বগুড়ায় রেকর্ড পরিমাণ লাচ্ছা সেমাই বিক্রি

বগুড়ায় রেকর্ড পরিমাণ লাচ্ছা সেমাই বিক্রি

অন্যান্য বারের মতো এবারও বগুড়ার লাচ্ছা সেমাই কিনতে ভিড় করছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা  মুসলমানরা। ইতিমধ্যেই ঈদ উপলক্ষে বিক্রি হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ লাচ্ছা।

আকবরিয়া, কোয়ালিটি, শ্যামলী, এশিয়াসহ জেলা শহরের প্রায় সবগুলো হোটেল ও বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে সেমাই কিনতে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এসব হোটেল বা এর বিক্রয়কেন্দ্র থেকে শনিবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ৭০০ মণ ময়দার লাচ্ছা-সেমাই বিক্রি হয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শতাব্দীর স্বাক্ষর বলে পরিচিত আকবরিয়ার লাচ্ছা ও সেমাই। এরপর রয়েছে, এশিয়া, কোয়ালিটি ও শ্যামলীসহ অন্যরা।

আকবরিয়া হোটেলের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল বারেক জানান, তাদের তৈরি ঘিয়ে ভাজা স্পেশাল লাচ্ছা ৪০০ টাকা, ঘিয়ে ভাজা (সাধারণ) ৩০০ টাকা, ডালডা ভাজা ১৫০ টাকা এবং বিখ্যাত চিকন সেমাই বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০ টাকা প্রতি কেজি।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে তাদের প্রায় ৩০০ মণ লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হয়েছে। তবে শনিবার রাত ও রোববার দিনে আরও প্রায় ১০০ মণ লাচ্ছা-সেমাই বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

কোয়লিটি সুইটসের স্বত্ত্বাধিকারী লতিফুল কবীর জানান, তারা ঘিয়ে ভাজা লাচ্ছা বিক্রি করছেন ৪০০ টাকায় এবং ডালডা ভাজা লাচ্ছা বিক্রি করছেন ১৪০ টাকায় প্রতি কেজি।

তিনি জানান, তারা পরিমাণের দিকে না তাকিয়ে গুণগত মানের দিকেই বেশি নজর দিয়েছেন। শনিবার সকাল পর্যন্ত তারা প্রায় ১০৫ মণ লাচ্ছা বিক্রি করেছেন তারা।

এশিয়া সুইটমিটের পরিচালক নুরুল হুদা তিলক জানান, তারা ঘিয়ে ভাজা স্পেশাল লাচ্ছা বিক্রি করছেন ৪০০ এবং ডালডা বিক্রি করছেন ৭০ টাকায় প্রতি কেজি। শনিবার দুপুর পর্যন্ত তারা প্রায় ১৩০ মণের মতো লাচ্ছা বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছেন।

ক্রেতারা বলেছেন, বগুড়ার আকবরিয়া, এশিয়া ও কোয়ালিটি সবার লাচ্ছাই ভালো। তবে আকবরিয়ার লাচ্ছাটা একটু ভিন্ন স্বাদের।

অর্থ বাণিজ্য