তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও তারেক রহমানের অর্থায়নে সারাদেশে সিরিজ বোমা ঘটেছিল বলে জানালেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা জঙ্গী সন্ত্রাসবাদ বিরোধ দিবস উপলক্ষে’ প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেদিন দেশের ৬৩ জেলায় ৫ শতাধিক বোমা হামণা করে জানান দিয়েছিলো যে দেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে খালেদা-নিজামী গং প্রস্তত।
এখন তারা গ্রেনেড হামলাকারীদের রক্ষা করে দেশকে আবার সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। মানবতা বিরোধীদের রক্ষা করতে চায়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অথিতির বক্তব্যে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে আবারো পাকিস্তানি আদর্শ কায়েম করতে চায়। বঙ্গবন্ধু হত্যা ও সারাদেশে বোমা হামলাও একই সূত্রে গাথাঁ।
বিরোধী দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজ তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। তারা বলেছে- ঈদের পর তারা বেপরোয়া হয়ে উঠবে। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের এই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করতে হবে।
কামরুল আরো বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যতই পরিণতির দিকে যাচ্ছে- ততই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বেপরোয়া হয়ে উঠছে। মনে রাখতে হবে, আমরা সাপের লেজে পা দিয়েছি, এই সাপকে বধ করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মো. নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সহ সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমূখ।