প্রসব বেদনা নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও তাতে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ব্রিটিশ এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। সামান্থা লকি, ২৩, নামের এই মেয়েটি প্রসব বেদনা সহ্য করে তার শরীরচর্চা বিজ্ঞান বিষয়ে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষায় তাকে গুটি কয়ের শারীরিক কসরতও দেখাতে হয় এবং শেষে ছিলো লিখিত পরীক্ষা।
পরীক্ষার দিন সকাল ৮টা থেকেই শুরু হয়েছিলো শারীরিক অস্বস্তি ও ব্যাথা। তবে সেদিকে মোটেই ভ্রুক্ষেপ ছিলো না সামান্থার। হাসপাতালে না গিয়ে তিনি চলে যান পরীক্ষার হলে।
১৩ ঘণ্টা প্রসব বেদনার পর ওই রাতেই জন্ম নেয় সামান্থার কন্যাসন্তান পপি।
গর্বিত মা তার অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন: ‘পরীক্ষা শেষ করার ব্যপারে আমি ছিলাম বদ্ধপরিকর। টানা তিনবছর কঠোর পরিশ্রমের পর এই পরীক্ষা। আমাকে সেটা শেষ করতেই হবে।’
সামান্থা বলেন, পরীক্ষার দিন ভোরবেলা থেকেই আমি একটু একটু চাপ অনুভব করতে থাকি। তখনই সিদ্ধান্ত নেই যা কিছুই হোক, এড়িয়ে যেতে হবে। তখন আমার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান ছিলো পরীক্ষা।
এক পর্যায়ে চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। কিন্তু আমার পরীক্ষাটি না দিয়ে উপায় ছিলো না। এবারে না দিতে পারলে এক মাসের মধ্যে আবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাওয়া যেতো। কিন্তু তা হতো আমার সন্তানটির জন্য ¯্রফে দুঃস্বপ্ন।
সাহসী এই ছাত্রী অবশ্য তার কষ্টের ফল পেয়েছেন। এক মাসের মধ্যেই তার পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। এবং তিনি প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষার রেজাল্ট শুনে সামান্থা বললেন, এখন আমি আমার মেয়ের সঙ্গে এর আনন্দ উপভোগ করতে পারবো।
তিনি বলেন, পরীক্ষার ফল যখন পেলাম, ভীষণ ভালো লাগছিলো। নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছিলো। পপিকে সঙ্গে করেই আমি আমার পরীক্ষার ফল নিতে গিয়েছিলাম। ও অবশ্য তখন ঘুমুচ্ছিলো।
এ বছরটি পড়াশুনা থেকে ছুটি নিচ্ছেন সামান্থা। তবে আগামী বছরই আবার অধ্যায়নে ফিরবেন তিনি। সাউথামটনে অকুপেশনাল থেরাপি নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তার।