দেশের পোশাক শিল্প প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আছে বলে মনে করেন বিজিএমইএ সভাপতি সফিউল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাকক্ষে ‘ঈদ পূর্ব পোশাক শিল্প খাতের পরিস্থিতি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিকূল অবস্থার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “ইউরোপ ও আমেরিকায় দ্বিতীয় দফা মন্দার কারণে বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমে গেছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে প্রতিনিয়ত তীব্র পতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য ল্যাটিন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, ভারত প্রভৃতি বিকল্প নতুন বাজারে অনুপ্রবেশ করতে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় পর্যায়ে দুর্বল অবকাঠামো, অপর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি, উচ্চ সুদের হার, উৎসে কর প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি প্রভৃতি কারণে ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাক শিল্প চাপের মধ্যে রয়েছে। গত অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে শুধু পোশাক খাতে প্রায় ২৫ শতাংশ কম ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানি হয়েছে।”
পোষাক শিল্পের শ্রমিক অস্থিরতা দূর করার জন্য বিজিএমইএর বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে তিন বলেন, “ঢাকায় গার্মেন্টস অধ্যুষিত এলাকাগুলোকে ৯টি ভাগে ভাগ করে বিজিএমইএ’র পরিচালক, পোশাক শিল্প মালিক এবং বিজিএমইএ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯টি আঞ্চলিক কমিটি ও ১৫টি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছি। এছাড়া যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিএমইএ অফিস, বিকেএমইএ অফিস ও শ্রম অধিদপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।