দক্ষিণ আফ্রিকার পর ‘ডি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পর নামিবিয়াকে সাত উইকেটে হারিয়ে কাপ পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তারা।
নামিবিয়া: ১৫১/১০ (৪৯.৪ ওভার)
বাংলাদেশ: ১৫৫/৩ (৩৭ ওভার)
ফল: বাংলাদেশ সাত উইকেটে জয়ী
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শ্রীলঙ্কার পরাজয়ে বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা একপ্রকার নিশ্চিত হয়েছিলো। গ্রুপের শেষ ম্যাচে হোঁচট খেলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকার সুবাদে শীর্ষ আটে উঠে যেতো বাংলাদেশ। কারণ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিতেছিলো। হিসেবের অত জটিল সমীকরণে যেতে হয়নি। গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষ নামিবিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
‘ডি’ গ্রুপ থেকে টানা তিন ম্যাচ জিতে বুধবার কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ তিন ম্যাচ খেলে দুটিতে জিতেছে। তাদের সংগ্রহ চার পয়েন্ট। শ্রীলঙ্কার একমাত্র জয়টি এসেছে নামিবিয়ার বিপক্ষে।
পিটার বার্গের ওভারে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেনি নামিবিয়া। বাড়ি ফেরার আগে অন্তত ব্যাটিং প্র্যাকটিস হয়েছে তাদের। ধরে ধরে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভার পর্যন্ত খেলেছে। যদিও অল-আউটের আগে ভ্যান ভুরেনের ২০, মেবার্গের ১৯, স্টিফেন বার্ড ৪০ ও হিবাগো গ্রোইনওয়ালডের ১৯ রানে মিলে ১৫১ রানের সংগ্রহ পায় নামিবিয়া।
বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ তিনটি, আবু জায়েদ দুটি উইকেট নেন। বাঁহাতি অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম জুনিয়রও নিয়েছেন দুটি উইকেট।
সহজ ম্যাচ সহজ করে জিতেছে বাংলাদেশ। ওপেনার লিটন দাস অপরাজিত ৭০ ও অধিনায়ক আনামুল হক বিয়জ ৩২ করলেই বাকিদের রান মিলে ৩৭ ওভারে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। সৌম্য সরকার ১৬ এবং আসিফ আহমেদ ১৩ রান করে আউট হয়েছেন।
যুব বিশ্বকাপে এনিয়ে তৃতীয়বার কাপ পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে প্রথম এবং ২০০৮ সালে মূলপর্বে খেলেছিলো অনূর্ধ্ব-১৯। তবে প্লেট পর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ দলের।