গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিবৃতি।

গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিবৃতি।

গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকার যে ধরণের অনভিপ্রেত পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন- তাতে আমি গভীরভাবে ম

র্মাহত ও উদ্বিগ্ন। গ্রামীণ ব্যাংক কোনো সাধারণ ব্যাংক নয়। আমার জানামতে, এটি বিশ্বের মধ্যে একমাত্র নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী ব্যাংক। এই ব্যাংকটি নিয়ে সরকার যে ধরণের ঘাটাঘাটি শুরু করছেন- তাতে শুধু এই প্রতিষ্ঠানটিই ক্ষতিগ্রস্থ হবেনা, বরং সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হবে। জাতির কাছে প্রতীয়মান হবে যে, ড. মু. ইউনুসের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়েই সরকার গ্রামীণ ব্যাংকে উদ্দেশ্যমূলক হস্তক্ষেপ করছেন।
দেশে শুধু গ্রামীণ ব্যাংকই একমাত্র ব্যাংক নয়, সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে আরো অনেক ব্যাংক রয়েছে। সেসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ থাকলেও সেদিকে দৃষ্টি না দিয়ে নোবেল পাওয়া ব্যাংকটি নিয়ে অহেতুক ঘাটাঘাটি দেশবাসীর কাছে প্রত্যাশিত নয়। গ্রামীণ ব্যাংক যেভাবে চলছে- সেভাবেই চলতে দেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। গ্রামীণ ব্যাংক শুধু গরীব মানুষের নির্ভরতার প্রতীক নয়- এটা জাতীয় পার্টির সরকারের জন্যও একটি গর্বের প্রতিষ্ঠান। কারণ, এই ব্যাংকটিকে আমরা ড. ইউনুসের মতো ব্যাক্তির হাতে দিতে পেরেছিলাম বলেই এই প্রতিষ্ঠানটি দেশ ও জাতির জন্য বিরাট সম্মান বয়ে এনেছে।
আমার জানামতে, গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৭ ভাগ পুঁজির মালিক দেশের দরিদ্র মহিলা সমাজ। এই ব্যাংকের পরিচালনা নিয়ে অতীতে কোনো অভিযোগ ছিলোনা এবং এখনও নেই। সরকার ইচ্ছা করলে অনুরূপ আরেকটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। আমি সরকারের প্রতি আবেদন জানাতে চাই, গ্রামীণ ব্যাংক যেভাবে চলে এসেছে- সেভাবেই চলতে দিন। আর ড. ইউনুসের মতো ব্যক্তিকে নিয়ে ঘাটাঘাটি করে বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের খাটো করবেন না। কারণ, ড. ইউনুস শুধু গ্রামীণ ব্যাংকের সাথেই যৌথভাবে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেননি- তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের আরো অনেক দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার লাভ করেছেন। সুতরাং সেই ব্যক্তিকে দেশের মধ্যে হেয় প্রতিপন্ন করলে বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের সম্মানই ক্ষুণ্ণ হবে।
অন্যান্য