জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতারা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির চক্রান্তে কিছু সেনা সদস্য সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।
নেতারা বলেন, ১৫ আগস্ট ব্যক্তি শেখ মুজিবকে নয়, সমাজতন্ত্রমুখী সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সেক্যুলার বাংলাদেশকে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের চেতনা তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করাই ছিল এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য। এরপর জেল হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল।
বুধবার সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু স্মরণে আলোচনা সভায় উপস্থিত নেতারা এসব কথা বলেন।
সিপিবি ঢাকা কমিটির সভাপতি আব্দুর কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মনজুরুল আহসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, শামসুজ্জামান সেলিম, কৃষক সমিতির সভাপতি মোর্শেদ আলী ও সিপিবি ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব লাবলু।
সভায় সিপিবি সভাপতি মনজুরুল আহসান খান বলেন, “১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশের চেতনা তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করার জন্য। আজ অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণমুখী ও সমাজতন্ত্র অভিমুখী বাংলাদেশকে পুনর্জীবিত করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আশপাশে ও দলের দক্ষিণপন্থীÑ মার্কিনপন্থী, খন্দকার মোশতাকরাই তাকে হত্যা করেছিলেন। আজ মোশতাকপন্থী দেশি-বিদেশি ভূতরা নানা কৌশলে আওয়ামী লীগের ওপর সওয়ার হচ্ছে।’’
‘‘শেখ হাসিনার আমলেও আমরা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখতে পারছি। আওয়ামী লীগ নয়, কমিউনিস্ট পার্টি এবং বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির উত্থানই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম।’’
তিনি অবিলম্বে একটি কমিশন গঠন করে মুজিব হত্যার সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক শক্তিকে চিহ্নিত করার আহ্বান জানান।