প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়স্বজন বনানী কবরস্থানে শায়িত আছেন।
বুধবার জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বনানী কবরস্থানে গিয়ে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েন।
এদিন সকাল সোয়া ৭টায় জাতীয় শোক দিবসে স্বজন শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমদ, আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাড. সাহারা খাতুন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
পরে এক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। ইতিমধ্যে জাতির বেশকিছু খুনির শাস্তি হয়েছে। আরও যারা শাস্তির বাইরে রয়ে গেছে অবিলম্বে তাদের ধরে এনে বিচার করতে হবে। তবেই জাতির পিতার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।’’
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একের পর এক আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানান।
ফুলে ফুলে ভরে যায় বনানী কবরস্থানের সারি বাঁধা ১৮টি কবর। ৩৭ বছর আগে ঘাতকের উদ্ধত বন্দুকের নলের মুখে রাতের অন্ধকারে জীবন দিতে হয় তাদের।
বনানী কবরস্থানে শায়িত রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, বড় ছেলে শেখ কামাল, কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, মেজ ছেলে শেখ জামাল, জামালের স্ত্রী পারভীন জামাল রোজী, ছোট ছেলে শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর বোনের স্বামী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, পৌত্র সুকান্ত বাবু, বঙ্গবন্ধুর নিকটাত্মীয় শহিদ সেরনিয়াবাত, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলসহ আরও কয়েকজন। এদিন দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।