স্বরাষ্টমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন, সতর্কতার জন্য ঈদে বাড়িতে যাওয়ার আগে বাসায় তালা দিয়ে যেতে। আর এবার মঙ্গলবার কমলাপুর রেলস্টেশনে যোগাযোগ ও রেলপথমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখতে এবং মালামালের প্রতি সতর্ক থাকতে।
মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে ওবায়দুল কাদের নিরাপত্তার বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ট্রেনে যারা যাবেন তারা নিজ মালামালের প্রতি যেনো সতর্ক সাবধানে থাকেন।’’
মন্ত্রী বলেন, ‘‘রেলের নিরাপত্তা বাহিনীতে যারা আছেন, তাদের সতর্ক করা হয়েছে। তবুও যাত্রীদের সতর্ক থাকতে হবে।’’
সংবাদ মাধ্যমকে বলা মন্ত্রীর এসব কথা শোনার পর কমলাপুর স্টেশনে উপস্থিত কয়েকজন মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এক যাত্রী বলেন, ‘‘এক মন্ত্রী বলছেন, ঈদে বাসায় তালা দিয়ে যেতে আর আরেক মন্ত্রী বলছেন, এখন ট্রেনে সতর্কতার সঙ্গে যেতে।’’
এ যাত্রীর কথার রেশ ধরে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ আরেকজন যাত্রী বলছেন, ‘‘যাই কন না ক্যান, এ মন্ত্রী অনেক পরিশ্রম করছেন। টিভিতে দেখি, উনি অনেক জায়গায় যান। দেখতাছেন না শরীর দিয়ে ঘাম ঝরতাছে।’’
এ দুই যাত্রীর কথার রেশ ধরে খোদ কমলাপুর স্টেশনে দায়িত্বরত এক নিরাপত্তা পুলিশ মন্তব্য করেন, ‘‘এ ঘাম মিডিয়াকে দেখানোর জন্য। ক্যামরা আছে যতক্ষন মন্ত্রী সাহেব ততক্ষণ!’’
মঙ্গলবার কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশ করেই মন্ত্রী ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি-না জানতে চান মন্ত্রী।
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘‘ট্রেনের ছাদে ভ্রমনের জন্য এবার নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।’’
ওবায়দুল কাদের জানান, ‘‘এটা আনন্দের বিষয় যে, পরিবহন হিসেবে মানুষ ট্রেনকে বেছে নিচ্ছেন। ট্রেন ভ্রমণকে নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে করে মানুষ ট্রেনের দিকে ছুটছেন।’’
ট্রেনেও যে শ্রেণী বৈষম্য স্পষ্ট তা অবশ্য স্বীকার করে নেন রেলমন্ত্রী নিজেই। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন ট্রেনের টয়লেটের অবস্থা এক নয়। প্রথম শ্রেণীর আসনের যাত্রীদের কিংবা আন্ত:নগর ট্রেনের টয়লেটের অবস্থা ভালো। আবার লোকাল ট্রেনগুলোর টয়লেট অপরিস্কার। আবার দেখা যায় যে আন্ত:নগর ট্রেনের ফ্যান ঘুরছে। কিন্তু লোকাল ট্রেনগুলোর অনেক ফ্যান ঘুরছে না।’’
সব ট্রেনের যাত্রীরা যেনো সমান সুযোগ-সুবিধা পান এবং কোনো বৈষম্য না থাকে সেজন্য মন্ত্রী বিশেষভাবে দেখবেন বলেও জানান।