আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, ‘মানবতাবিরোধীদের বিচারের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে যে বাংলাদেশে আইনের শাসন কায়েম রয়েছে।’
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্রিমিনলজির দ্বিতীয় বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটি রাজিনৈতিক দল দেশে-বিদেশে প্রচার করছে এ বিচার রাজনৈতিক। কিন্তু এ বিচার রাজনৈতিক নয়। রাজনৈতিক দলের সাথে মানবতাবিরোধীরা জড়িত রয়েছে বলে এমন প্রচার করা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭২ সালে দালাল আইনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তাদেরকেই ক্ষমা করেছিলেন যারা বড় ধরণের অপরাধে জড়িত নয়। ৭৫’র পর জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করে মানবতাবিরোধীদের ক্ষমা করে অপরাধের ব্যাপ্তি বাড়িয়েছিলেন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, ‘অপরাধ এদেশে ছিলো না। যদি থাকতো তবে ৩০ লাখ লোক যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতো না। অপরাধ কায়েমকারী ও প্রশয়কারীরা একাধিক বার ক্ষমতায় থাকায় অপরাধের ব্যাপ্তি বেড়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ক্ষমা করে, দেশে কালো আইন জারি করে দেশে অপরাধের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে।’
এসময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান ও সামাজিক ন্যায়বিচার নামে নতুন বিভাগ চালু করার ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি একেএম সাদ উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্ নিয়া স্টেট ইউনিভার্ টির শিক্ষক ড. মোকাররম হোসেন।
আরো বক্তব্য রাখেন এমডি ইমদাদুল হক, ড. এআই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।