টাকা তোলার হিড়িক থাকলেও কলমানি রেট স্বাভাবিক

টাকা তোলার হিড়িক থাকলেও কলমানি রেট স্বাভাবিক

ঈদের আগে লেনদেনের শেষ দিনে ব্যাংকগুলোতে টাকা তুলতে দীর্ঘ লাইন থাকলেও কলমানি রেট স্বাভাবিকই ছিল।

জাতীয় শোক দিবস ও ঈদের দীর্ঘ ছুটির আগে মঙ্গলবার ছিল ব্যাংকগুলোতে লেনদেনের শেষ দিন, যদিও ঢাকা মহানগরীসহ শিল্পঘন এলাকায় বৃহস্পতিবার ও শনিবারও ব্যাংকে কিছু কার্যক্রম চলবে।

ঈদের আগে আর ব্যাংক খোলা না পাওয়ায় শেষ দিনে টাকা তুলতে ব্যাংকের শাখাগুলোতে দেখা গেছে মানুষের দীর্ঘ লাইন। অনেককে দেড়-দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে টাকা তুলতে দেখা গেছে।

ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি এটিএম বুথেও ছিল ভিড়। নতুন টাকার জন্য মতিঝিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও ছিল মানুষের লাইন।

বরাবরের মতো এবার ঈদকে সামনে রেখে নগদ টাকার চাহিদা বেশি থাকলেও আন্তঃব্যাংক লেনদেনে স্বল্প সময়ের জন্য ধার করা টাকার সুদের হার (কলমানি রেট) মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল।

মঙ্গলবার কলমানি রেট সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ পর্যন্ত ওঠে, তবে গড় হার ছিল ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। সোমবারও কলমানি রেট সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল।

কলমানি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগই ১৬ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলো থেকে টাকা ধার করেছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বেশির ভাগই সাড়ে ১৪ শতাংশ সুদে লেনদেন করেছে।

গত সপ্তাহের শেষ দিন কলমানি রেট ছিল ১০ শতাংশের নিচে, চলতি সপ্তাহে ঈদকে সামনে রেখে তা কিছুটা বেড়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার কলমানি মার্কেটে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ২০৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সোমবার লেনদেন হয় ৫ হাজার ৫৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ঈদকে সামনে রেখে ৫ থেকে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত মোট ৪৭ হাজার ৫২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে কলমানি মার্কেটে।

বেসরকারি এক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  বলেন, ঈদ ঘনিয়ে আসায় প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে গ্রাহকরা ব্যাংকে ভিড় জমাচ্ছেন। এ কারণে ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এ চাহিদা মেটাতে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছ থেকে কম সময়ের জন্য কিছুটা বেশি সুদে টাকা ধার করছে।

তবে ১৬ শতাংশ কলমানি রেট বেশি নয় বলে দাবি করেন ওই ব্যাংকার।

কলমানি রেট হচ্ছে- কম সময়ের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টাকা ধার (ঋণ) করার সুদের হার।

গত ঈদুল ফিতরের সময় কলমানি রেট সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। তবে কয়েক বছর আগে একবার ঈদুল আজহায় কলমানি রেট ১৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (গভর্নর সচিবালয়) এ এফ এম আসাদুজ্জামান  জানান, গত ২৭ জুলাই থেকে ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন মূল্যমানের মোট ১৩ হাজার ৮৫৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার নতুন নোট বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিস থেকে ইস্যু করা হয়েছে।

অর্থ বাণিজ্য