‘শোকের দিনে উল্লাস মানবাধিকার লঙ্ঘন’

‘শোকের দিনে উল্লাস মানবাধিকার লঙ্ঘন’

জাতীয় শোক দিবসে ‘উল্লাস’ করাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে তুলনা করেছেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

মঙ্গলবার শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “শোকের দিনে যারা উল্লাস করে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। তারা মানবিক গুণাবলী বিবর্জিত। কিন্তু রাজনীতি মানবতাহীন নয়।”

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালন করে। আর এই দিনেই নিজের জন্মদিন পালন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের কঠোর সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, “অতীতে ভুল করে থাকলে এখনো সময় আছে তা শুধরে নেওয়ার।”

জাতীয় ঐক্যের বাধা দূর করে গণতন্ত্র ও সমঝোতার পথে এগোতে বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

“অনেক বিলম্ব হলেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ভুল বুঝতে পেরে আলোচনার জন্য রূপরেখা দিতে রাজি হয়েছে। এজন্য মওদুদ আহমেদকে ধন্যবাদ। কারণ রূপরেখা ছাড়া আলোচনা হতে পারে না।”

সমঝোতায় মাধ্যমেই নির্বাচন চান উল্লেখ করে সুরঞ্জিত বলেন, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন করবে। তাকে সহায়তার জন্য থাকবে অন্তবর্তী সরকার।

এই অন্তবর্তী সরকারে যোগ দেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ‘গণতান্ত্রিক ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত’ বলেও মনে করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিতের মতে, নির্দলীয় সরকার নিরপেক্ষ হতে পারে না। সর্বদলীয় সরকারই নিরপেক্ষ হয়।

বিএনপি নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করলে ঈদের পরে আলোচনায় বসা যাবে বলেও আশা করছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

বর্তমান সংবিধানের আলোকেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব মন্তব্য করে সুরঞ্জিত বলেন, “আগামী নির্বাচনের জন্য সংবিধান এবং কোনো আইন সংশোধনের প্রয়োজন নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং মাইন্ডসেট প্রয়োজন।”

বঙ্গবন্ধুর বিদেশে পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আইন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত।

তিনি বলেন, “এজন্য আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির প্রয়োজন থাকলে অবিলম্বে সে চুক্তি করে খুনিদের দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করুন। নইলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা ও বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না।”

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতি জোট ‘জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা জন্মদিন পালন করা ৭১ ও ৭৫ এর খুনিদের উৎসাহিত করা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

জোটের উপদেষ্টা শেখ মো. জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এম এ করীম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, জনতা ব্যাংকের পরিচালক বলরাম পোদ্দার প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।

রাজনীতি