বৈদেশিক নির্ভরতা কমে আসছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

বৈদেশিক নির্ভরতা কমে আসছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

আমরা প্রাচীন জাতি তবে দেশ নবীন। সেজন্য বৈদেশিক নির্ভরতা কিছুটা রয়েছে। শুধু ভূমি নয়, মানসিক ও সাংস্কৃতিক দখলদারিত্বও প্রকট হচ্ছে। এটা থেকে বের হওয়ার জন্য বিকল্প পথ আছে। তবে আশার কথা অঙ্কের হিসেবে বৈদেশিক নির্ভরতা কমছে।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিদ্ধেশ্বরী স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) বার্ষিক সম্মেলন-২০২২ এর উদ্বোধনী অধিবেশনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আর আগের অবস্থানে নেই। অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। বৈদেশিক নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।

সরকারের সমালোচনা করলে সঠিকভাবে করতে হবে বলে তিনি বলেন, যাদের সঙ্গে আমি কাজ করি তারাও মনে করেন সমালোচনা করা সঠিক। সমালোচনা শুনে আমরা লাভবান হই, কিছু শিখতে পারি। সমালোচনাকে সব সময় সাধুবাদ জানাই। তবে সেটা সঠিক হতে হবে।

অপচয় কষ্ট দেয় দাবি করে মন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ কাজে অপচয় হচ্ছে এটা আমাকে কষ্ট দেয়। ছোট বেলায় মা-বাবা বলতেন খাবার নষ্ট করবে না, পাপ হয়। এটাও একটা শিক্ষা। আমাদের সবক্ষেত্রে অপচয় কমাতে হবে। নাগরিক সমাজকে এসব বিষয় নজর দিতে হবে।

দেশে বিদ্যুতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আলোচিত বিষয়। কিছু ঘাটতি রয়েছে, রামপাল-কয়লা নিয়ে সমালোচনা হয়। তবে সব সমালোচনা পেছনে ফেলে ১৮ কোটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। বিদ্যুতের ঝলকে সমালোচনার ঘাটতি আড়ালে পড়ে গেছে। দুর্দশাগ্রস্ত ৯৮ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। এটা কম সফলতা নয়।

বেসরকারি খাতের চাপে আছে সরকার এমন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির ৮৫ ভাগ বেসরকারির হাতে আছে। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয় সরকারকে। ফলে অনেক কিছু পেছনে পড়ে যায়। সরকার চাইলেই একার পক্ষে সব কিছু সম্ভব নয়। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হয়।

এসময় আরও বক্তব্য দেন- অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বাপার সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, বাপার সাধারণ সম্পাদক শরিপ জামিল।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর