দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া গ্রুপ ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া প্রেসে এ বছর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের দুই কোটি ৩৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৩টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সঙ্গে ১৯টি লটের এ চুক্তি গত ৮ জুলাই সম্পাদন করে। চুক্তির পর থেকেই গ্রুপের প্রেসে পুরোদমে চলছে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের কাজ।
জানা যায়, সর্বমোট ৯৮ দিনের মধ্যে এসব পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বাঁধাই শেষে নির্ধারিত বিভাগীয় জেলা ও উপজেলায় গ্রুপের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহের জন্য এরই মধ্যে গ্রুপের প্রেস ইউনিটে আন্তর্জাতিক মানের পারফেক্ট বাইন্ডিং মেশিনারি, মুলার মার্টিনি অটো বাইন্ডিং থ্রি নাইফ সিস্টেম মেশিন সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রেস ইউনিটের কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার জন্য সব প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার রাতে বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রেসে প্রস্তুতকৃত পাঠ্যপুস্তকের প্রথম পর্ব পরিদর্শন করেন দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের উপদেষ্টা মো. আবু তৈয়ব প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে কালের কণ্ঠ সম্পাদক বলেন, “এটা একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের এই প্রেসে যে মানের পাঠ্যপুস্তক ছাপা হচ্ছে, দেশে এই মানের ছাপাখানা কোথাও নেই। কিছুদিন আগেও এই প্রেস থেকে সিঙ্গাপুরে বই সরবরাহ করা হয়েছে, এ থেকে বোঝা যায় এই প্রেস কতটা আন্তর্জাতিক মানের।”
শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়ার জন্য এমন প্রেসের গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বাংলানিউজকে বলেন, “সরকার বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার যে অঙ্গীকার করেছে, তা বাস্তবায়নের জন্য এ প্রেস কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রেসের বই মুদ্রণের ফলে ভবিষ্যতে সময়মতো পাঠ্যবই তুলে দেওয়া আরও সহজ হবে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে না পারার অভিযোগ আর থাকবে না।”
একই অভিমত প্রকাশ করে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) জেড এম আহম্মেদ প্রিন্স বলেন, “গত বছর আমরা ছাপিয়েছি ৪৮ লাখ পাঠ্যবই। এ বছর এর চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বেশি বই তৈরি করছি। আমাদের কাজ বিশ্বমানের বলেই আমরা সুন্দরভাবে এ বিশাল কাজটি সম্পাদন করতে পারছি।”
তিনি আরও বলেন, “এ বছর এ পাঠ্যবই ভারতেও ছাপা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে আর দেশের বাইরে পাঠ্যবই ছাপানোর কোনো প্রয়োজন হবে না। আমরা সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।”
বিশ্ব মানের ছাপা উপযোগী এ প্রেস তৈরির জন্য উপস্থিত সবাই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রেস ইউনিট প্রধান লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল বিপি পিএসসি, জ্যেষ্ঠ জিএম (প্রেস) আব্দুল আউয়াল, এজিএম (প্রেস) গোলাম মোস্তফাসহ অন্য কর্মকর্তারা।