শাহজালাল বিমান বন্দর দিয়ে পাকিস্তান থেকে আনা ভারতীয় মুদ্রা পাচার নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। প্রতি দিনই আসছে ভারতীয় মুদ্রা। পাকিস্তানের প্রতিটি ফ্লাইটেই এসব অবৈধ মুদ্রা আসছে বলে আশংকা করছে গোয়্ন্দো সংস্থাগুলো। যতটা আসছে তার তুলনায় ধরা পড়ছে খুবই কম।
সবশেষ সোমবার ভোরে বিপুল অংকের ভারতীয় মুদ্রার চালান আটক করা হয়েছে শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে। এসব মুদ্রার সাথে আটক করা হয়েছে কাসিফ নামের এক পাকিস্তানের নাগরিককেও। তার লাগেজ থেকে উদ্ধার করা ভারতীয় রুপির পরিমান বাংলাদেশি টাকায় ১কোটি ৩২লাখ টাকা। এ ব্যাপারে বিমান বন্দর থানায় তার বিরুদ্বে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
কাস্টমস বিভাগের সহকারী কমিশনার সাদিয়া আফরোজ জানান -ভোরে করাচি থেকে আগত ইত্তিহাদ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের শত শত যাত্রী একসঙ্গে ভিড় জমায় বেল্ট এরিয়ায়। এ সময় যাত্রীরা স্বাভাবিক গতিতে ক্স্টামস স্ক্যান এরিয়া দিয়ে বের হতে থাকে। তবে কাসিফের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তার লাগেজ স্ক্যানিং করা হয় । এতে দেখা যায় লাগেজের ভেতরে ছোট ছোট প্যাকেটে মোড়ানো এসব মুদ্রা। তাৎক্ষণিক লাগেজ খোলা হলে বিপুল পরিমান ভারতীয় মুদ্রা উদ্বার করা হয় ।
বি শিফটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাস্টমস সুপার সুলতানের নেতৃত্বে মুদ্রাগুলো অন্যান্য গোয়েন্দা স্স্থংার উপস্থিতিতে গননা করা হয়।
সূত্র জানায়, সকালে গ্রেফতারকৃত পাকিস্তানি নাগরিক কাসিফের বিরুদ্ধে বিমান বন্দর থানায় পাঠানো হয়। তার পাসপোর্ট নং- (এএস -৪৮৪৬৪৩১) । পাসপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়- তিনি এর আগেও একবার ঢাকায় এসেছিলেন ।
বিমান বন্দর থানার পুলিশ জানায়- কাসিফ একজন পেশাদার মৃুদ্রা পাচারকাারী।এসব মুদ্রা ভারতে পাচার করার জন্যই আনা হয়েছে ।
ক্স্টামস কমিশনার জাকিয়া সুলতানা জানান- মুদ্রাগুলো জব্দ করে আপাতত বিমান বন্দর ক্স্টামস গোডাউনে রাখা হয়েছে। খুব শিগগির এগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মুদ্রাগুলো নকল না আসল সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এগুলোর সিরিয়াল উল্টোপাল্টা হওয়ায় মনে আসল মুদ্রাই বলে ধারনা করা হচেছ বলে মন্তব্য করেন সাদিয়া আফরোজ।
উল্লেখ্য এর আগেও গত মার্চে পর পর তিনটে এ ধরণের ভারতীয় মুদ্রার বিশাল চালান আটক করা হয় ।