ইরানি সেনা প্রধান পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী মার্কিন রণতরী ফেরত আনার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। উল্লেখ্য, মাত্র এক সপ্তাহ আগে ওই রণতরীটি পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী ত্যাগ করে।
ইরানি সেনা প্রধান মেজর জেনারেল আতাউল্লাহ সালেহী রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা ফার্সকে বলেন, ‘আমরা সাধারণত যে হুঁশিয়ারি একবার দেই তার পুনরাবৃত্তি করিনা। এবং আমরা কাউকে হুঁশিয়ারি একবারই দেই!’
তিনি বলেন, ‘এই জাহাজটি আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমরা একে ফিরে না আসার জন্য হুঁশিয়ার কের দিচ্ছি।’
সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট, ব্লুমবার্গ অনলাইনসহ সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, হরমুজ প্রণালীর পূর্বদিকে ওমান উপসাগরে ইরানি নৌ-বাহিনীর দশদিনব্যাপী মহড়ার সমাপ্তি দিনে মঙ্গলবার ইরানি সেনা প্রধান সালেহি যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্ধেশ্য করে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমেরিকান বিমানবাহী রণতরীকে পারস্য উপসাগরে ফেরৎ না আসার জন্য বিশেষভাবে পরামর্শ দিচ্ছি।’
আতউল্লাহ আরও জানান, তার দেশ হঠকারী কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না কিন্তু যে কোনও হুমকির বিরুদ্ধে প্রচণ্ডভাবে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত।
আরব সাগরে নিয়মিত যাত্রারত পরমাণু শক্তিচালিত মার্কিন রণতরী ইউএসএস জন সি স্টেনিস গত ২৭ ডিসেম্বর হরমুজ প্রণালী হয়ে পূর্ব দিকে যাত্রা করে বলে ইরান দাবি করেছে। ইরানি নৌ-বাহিনী মহড়াকালে ওই রণতরীকে সে এলাকা অতিক্রম করতে দেখেছে বলে জানায়।
সম্প্রতি ইরানের অপরিশোধিত তেল রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ২৭ ডিসেম্বর ইরান পাল্টা হুমকি দিয়েছিল সে হরমুজ প্রণালী দিয়ে তেলবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেবে।
গত ২৮ ডিসেম্বর মার্কি নৌ-বাহিনী ইরানি হুঁশিয়ারির জবাবে জানিয়েছিল, হরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচলের পথে কোনও বিঘ্ন তারা সহ্য করবে না।
মার্কিন জ্বালানি বিভাগের তথ্যমতে, পারস্য উপসাগরের মুখের কাছে ইরান ও ওমানের মধ্যকার হরমুজ প্রণালী দিয়ে বিভিন্ন জাহাজের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৫.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পারপার হয় যা বিশ্বে প্রতিদিন মোট ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৬ ভাগের ১ ভাগ।