অর্থ আইন ২০১২-এ ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিকূল ধারাসমূহ সংশোধনের উদ্দেশ্যে একটি জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর জরুরি চিঠি পাঠিয়েছেন চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম।
বুধবার ব্যবসায়ী নেতা, অর্থনীতিবিদ ও পেশাজীবীদের সমন্বয়ে চিটাগাং চেম্বার আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠির বিষয়বস্তু প্রসঙ্গে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম বলেন, “আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ধারা ৫২ উপধারা ১ অনুযায়ী লোকাল এলসির বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন, ধারা ১৬ সিসিসি’র অধীনে টার্নওভার ট্যাক্স এবং ৮২সি ধারার অধীনে চূড়ান্ত করদায় নির্ধারণ অধিক রাজস্ব আহরণের কৌশল মনে করা হলেও সারাদেশের শিল্পপতি, উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, আর্থিক খাতে এবং ব্যবসায়ী মহলে অত্যন্ত ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের আশঙ্কা বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য যেমন চাল, ডাল, গম ইত্যাদি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় লোকাল এলসির মাধ্যমে সরবরাহ করার ক্ষেত্রে উপরোক্ত সিদ্ধান্তের কারণে চরম সংকট দেখা দেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।”
মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১৪ জুন জারি করা বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর-০৭ ও ০৮ এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহকে লোন ক্লাসিফিকেশন অ্যান্ড প্রবিশনিং এবং লোন রিসিডিউলিংয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সার্কুলার অনুযায়ী তৃতীয়বারের পর কোনো লোন রিসিডিউলিং করা যাবে না ও লোন ক্লাসিফাইড হয়ে যাবে এবং মামলা রুজু করতে হবে।
এসব ধরাবাঁধা নিয়মের কারণে ব্যাংকের আয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ লোনেবল ফান্ড কমে যাবে যা ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করার ফলে জাতীয় অর্থনীতি স্থবির হওয়ার আশঙ্কার কথাও বলেন তিনি।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি জাতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ বিবেচনার উদ্দেশ্যে বর্ণিত ধারাসমূহের যথাযথ বিশ্লেষণের মাধ্যমে একই সঙ্গে ব্যবসা ও রাজস্ববান্ধব সংশোধনী আনতে যত শিগগির সম্ভব প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বয়ে ‘জাতীয় সংলাপ’ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম তথা সমগ্র দেশের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে আবেদন জানান তিনি।