জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি নগণ্য হলেও নেতাকর্মীদের দখলে ছিল। শুত্রুবার সন্ধ্যার জাতীয় প্রেস ক্লাবের নিচতলার হলরুমে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর জামায়াত।
৫’শ লোকের আয়োজন করা হয় এ ইফতারে। পুরো ইফতার আয়োজনে ৬০ জনের মতো সাংবাদিক ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন ঢাকা মহানগর জামায়াতের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মী।
এই প্রতিবেদকের সামনে বসা একজনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি নবাবপুরের পাইপ ব্যবসায়ী বলে জানান। ‘‘আপনি এখানে কার দাওয়াতে এসেছেন’’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘কারো দাওয়াতে নয়, আমি স্বেচ্ছায় এসেছি।’’
ঢাকা মহানগর জামায়াতের একজন নেতা বলেন, ‘‘আমরা মূলত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার আয়োজন করেছি। এখানে যদি কোনো কর্মী এসে থাকেন, তাহলে আমার জানা নেই।’’
সাংবাদিকদের সম্মানে মহানগর জামায়াতের এ ইফতার মাহফিল করার কথা ছিল ২৫ জুলাই। সে অনুযায়ী বিভিন্ন মিডিয়ার কার্ড পাঠিয়েছিল তারা। কিন্তু ২৫ জুলাই সাংবাদিকদের সম্মানে খালেদা জিয়ার ইফতার থাকায় তারিখ পরিবর্তন করে ১০ আগস্ট করা হয়। নতুন তারিখ ঠিক করে আবারো বিভিন্ন মিডিয়ার হাউজে দাওয়াতের চিঠি পাঠায় জামায়াত।
এ ইফতারকে সফল করতে মহানগর জামায়াত ব্যাপক প্রচারণাও চালিয়েছে। অনুষ্ঠানের তিনদিন আগে দু’বার মেইল ও সর্বশেষ ৮ আগস্ট সবাইকে এমএমএসের মাধ্যমে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
তারপরও সাংবাদিকদের তেমন কোনো উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। এ নিয়ে জামায়াত নেতাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা লক্ষ্য করা গেছে।
এ ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আব্দুস সহিদ, সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল হোসেন, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, নিউ নিশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, লেখক ও কলামিস্ট সাদেক খান, কবি আব্দুল হাই সিকদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তারেক শামছুর রহমান প্রমুখ।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক নাজির আহমেদ, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক তাসনিম আলম, ঢাকা মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদ এমপি, সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।