ঈদের ছুটিতে বন্দর ও ব্যাংকের এডি শাখা খোলা রাখার দাবি ইএবি’র

ঈদের দশদিন সরকারি ছুটিতে (ঈদের দিন ছাড়া) সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর, বন্দরে অবস্থিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের এডি শাখা এবং শুল্ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকল দফতর খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।

বৃহস্পতিবার ইএবি’র সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে পোষাক শিল্পসহ রফতানিমুখী সকল শিল্প নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। বিগত বছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। দেশের অভ্যন্তরে অবকাঠামোগত দূর্বলতা, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট ও ব্যাংকের উচ্চ সুদ রফতানি বৃদ্ধিতে বড় প্রতিবন্ধকতা। এ সকল কারণে রফতানিকারকদের সক্ষমতা ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে।

এতে আরো বলা হয়, ঠিক এমনই অবস্থার প্রেক্ষাপটে দেশের রফতানি বাণিজ্য ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে। আগামী ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির আগে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সরকারি ছুটি, ১৬ আগস্ট শবে কদরের ছুটি, ১৭ ও ১৮ আগস্ট সাপ্তাহিক ছুটি, ১৯ থেকে ২২ আগস্ট ঈদের ছুটি, ২৩ আগস্ট একদিন অফিস খোলা এবং ২৪ ও ২৫ আগস্ট আবার সাপ্তাহিক ছুটি। অর্থ্যাৎ ১০ দিন সরকারি ছুটি একসঙ্গে পড়ে যাচ্ছে। রফতানি পণ্যের মূল বাজার ইউরোপ ও আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশ সময়ের পার্থক্য থাকার বিষয়টিও একটি সমস্যা।

এতে বলা হয়, উপরোক্ত ১০দিন দেশের রফতানিমুখী শিল্পের পণ্য রফতানি এবং কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হবে। রফতানি কনসাইনমেন্ট বন্ধ থাকলে এবং ঋণপত্র ও শিপমেন্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে কনসাইনমেন্টগুলো সমস্যার সম্মুখীন হবে। একইভাবে আমদানিকৃত কাঁচামাল ছাড়করণ বন্ধ থাকলে ফ্যাক্টরির উৎপাদন বন্ধ থাকবে। ফলে শিপমেন্ট সিডিউল বাস্তবায়ন কঠিন হবে।

এতে আরো বলা হয়, অর্থাৎ ব্যাংক, বন্দর, শুল্ক বিভাগ এবং শিপিং এজেন্সিগুলো বন্ধ থাকলে রফতানি ও আমদানি কনসাইনমেন্টগুলোর ছাড়করণে বিলম্ব হবে। ফলে ক্রেতার ঋণপত্র ও শিপমেন্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ মাধ্যম বহু কারখানার রফতানি পণ্যের সমুদ্রপথে জাহাজীকরণ ব্যাহত হওয়ার ফলে কনসাইনমেন্টগুলো অতিব ব্যয়বহুল এয়ার ফ্রেইটিং করার সম্ভাবনা থাকবে।

তাই উক্ত ছুটির দিনে সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর, বন্দরে অবস্থিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের এডি শাখা এবং শুল্ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকল দফতর খোলা রাখা প্রয়োজন।

অর্থ বাণিজ্য