নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নূণ্যতম শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হওয়ায় পদ হারানো পরিচালকদের তথ্য দিতে ব্যর্থ ৬৭ কোম্পানিকে পুনরায় তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
এর আগে একবার নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য না দেওয়ায় সম্প্রতি ফের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
গত ২৮ জুনে দেওয়া এ সংক্রান্ত এসইসি’র নির্দেশনা অনুসারে ১৫ জুলাইয় তথ্য দেওয়র সময় শেষ হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য দেয়নি ৬৭ কোম্পানি। এ কারণে ফের নূণ্যতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থতার কারণে পরিচালক পদ হারানোদের তালিকা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে এসইসি। এবার তথ্য দেওয়ার শেষ তারিখ ১৪ আগস্ট নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এসইসি’র এবারের নির্দেশনার পরে তথ্য না দিলে বিদ্যমান আইন অনুসারে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন।
এসইসি’র এসআরএমআইসি বিভাগের এক পরিচালক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, গত বছরের ২২ নভেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসারে পরিশোধিত মূলধনের ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থতার জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির যেসব পরিচালকের পদ শূন্য হয়েছে তাদের তথ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিশনে দাখিল করেনি। এসব কোম্পানিকে আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিলের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এবার ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে এসইসি’র আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে শেয়ার ধারণের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের পরিচালকেরা সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন জানান। তবে সে আবেদন নাকচ করে দেয় কমিশন।
এর পর এসইসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যে সকল পরিচালক ২ শতাংশ শেয়ার ধারনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন, তাদের আবেদন কমিশন বিবেচনা করেনি বলে জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এসইসি গত বছরের ২২ নভেম্বর এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পরিচালকদের তাদের নিজ নিজ কোম্পানিতে সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কয়েকজন পরিচালক হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। বিস্তারিত শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত ২১ মে রিটগুলো খারিজ করে দেন। ফলে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত কমিশনের নির্দেশনা বহাল রয়েছে।