অব্যাহত দরপতনে আর্থিক খাতে অস্থিরতা

অব্যাহত দরপতনের কারণে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এ কারণে ইতিমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারের বাইরে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে। এমন অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও খেই হারিয়ে ফেলছেন।

বতর্মানে পুঁজিবাজারে আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত ২২ কোম্পানির মধ্যে প্রায় সবগুলোর মুনাফার পরিমাণই কমেছে। আবার কিছু কোম্পানি লোকসানে চলে গেছে। লোকসানের কারণে ডিভিডেন্ড দেওয়ার যোগ্যতাও হারিয়ে ফেলছে কোম্পানিগুলো। এ ২২ কোম্পানির মধ্যে মাইডাস ফাইন্যান্সের অর্থবছর শেষ হলেও লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি।

এছাড়া বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স, ফ্যাস ফাইন্যান্স এবং আইপিডিসি অর্থবার্ষিক পর্যন্ত লোকসানে রয়েছে। আরেক কোম্পানি বিডি ফাইন্যান্স প্রথম প্রান্তিকে লোকসানে ছিল, তবে অর্থবার্র্ষিকে তা কাটিয়ে উঠেছে।

এসব প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, মূলত পুঁজিবাজারের দীর্ঘ মন্দার কারণেই তাদের ব্যবসার অবস্থা খারাপ যাচ্ছে। পাশাপাশি ঋণের সুদ বেড়ে যাওয়াতে গ্রাহকেরাও ঋণ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে না। তাই বাধ্য হয়েই প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু গত দেড় বছর শেয়ারবাজার অস্থিতিশীলতার কারণে তাদের শেয়ার ব্যবসাতেও মন্দা বিরাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে মাইডাস ফাইন্যান্সের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘মূলত শেয়ারবাজারের অবস্থা খারাপ হবার কারণেই আমাদের ব্যবসায়িক অবস্থা খারাপ হয়েছে। যে কারণে অর্থবছর শেষে নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছি। তালিকাভুক্তির পর এমন ঘটনা আর ঘটেনি।’’

অপরদিকে মুনাফায় থাকা একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘বাজার পরিস্থিতি খারাপ হবার পরও আমরা আমাদের মুনাফা ধরে রাখতে পেরেছি। কারণ পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগ আগের চেয়ে অনেকাংশে কমিয়ে এনেছি। না হলে লোকসান কাটানো সম্ভব হতো না।’’

অর্থ বাণিজ্য