আদালতের মাধ্যমে দৈনিক আমাদের সময়ের মালিকানা ফেরত পাওয়ার পর নতুন মালিকপক্ষ জানিয়েছে, তারা পত্রিকাটির মালিকানা পেতে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানকে ২৯ কোটি টাকা দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, সব অর্থ সঠিক সময়ে ও যথাযথভাবে পরিশোধ করার পরেও নাঈমুল ইসলাম খান এর মালিকানা হস্তান্তরে গড়িমসি করলে আদালতের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আমাদের সময়ে বিনিয়োগকারীদের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইউনিক গ্রুপের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, “আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছি। আর তাতে সত্যেরই জয় হয়েছে।“
তিনি বলেন, “নাঈমুল ইসলাম খান পত্রিকাটি বিক্রি করেছেন এবং তার বিনিময়মূল্য পেয়েছেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দফতরে নিজেই হাজির হয়ে সি-ফর্ম পূরণ করে মালিকানা হস্তান্তরের বিষয়ে নথিপত্র স্বাক্ষর করেছেন।
একটি সমঝোতাচুক্তির বিপরীতে আমাদের সময়ের মূল প্রতিষ্ঠান নতুন ভিশনের সকল শেয়ারও তিনি (নাঈমুল) নিজেই হস্তান্তর করেন বলে জানান সারোয়ার। তিনি বলেন, “এসব কিছুর বিনিময়ে নতুন যৌথ মালিকানাধীন উদ্যোগটির কাছ থেকে ২৯ কোটি টাকা নেন নাঈমুল। কিন্তু মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে তার গড়িমসির কারণেই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।“
আদালতের রায়ের পর নাঈমুল ইসলাম খানের প্রতিক্রিয়ায় ‘ন্যায়বিচার-বঞ্চিত` হওয়ার দাবি প্রসঙ্গে সারোয়ার বলেন, “হাইকোর্টের তিন জনের বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানি শেষে সম্পূর্ণ একমত হয় মামলার রায় দেন। এখানে তার `ন্যায়বিচার-বঞ্চিত` হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, বরং হাইকোর্টের রায়ে সত্যেরই জয় হয়েছে।“
দৈনিক আমাদের সময়ের মালিকানা নিয়ে নাঈমুল ইসলাম খানের করা রিট আবেদনটি বুধবার খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এর ফলে পত্রিকাটির মালিকানা হারান তিনি।
এতে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুফী মিজানুর রহমানের পিএইচপি গ্রুপ, নূর আলীর ইউনিক গ্রুপ ও আমানউল্লাহ’র আমান গ্রুপের যৌথ মালিকানাতে চলে যায় সংবাদপত্রটি।
বুধবার দুপুরে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।