বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১১ বিলিয়ন ডলার (১১০০ কোটি ডলার) ছাড়াল।
বুধবার দিন শেষে তা ১১ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছায়। এদিন শুরুতে তা ছিল ১০ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বুধবার দিন শেষে রিজার্ভ ১১ দশমিক শুন্য ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসে রিজার্ভ বেড়ে এগারো বিলিয়ন হওয়াটাতে ইতিবাচক মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে, পঞ্জিকা বছরের হিসাবে এটি রিজার্ভের রেকর্ড। গত জানুয়ারি থেকে এপর্যন্ত কোনো মাসেই রিজার্ভ এই পরিমাণ হয়নি। আর সর্বশেষ জুলাই মাস পর্যন্ত তা দশ বিলিয়ন ডলারের ঘরে অবস্থান করে। টানা দু`মাস হাজার কোটি ডলারের ঘরে অবস্থান করে বুধবার তা এগারো শত কোটি ডলার হয়।
কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, “প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়া, আমদানি ব্যয় কমে যাওয়া, ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতি এবং আমদানি ব্যয় নগদ পরিশোধ করার সুযোগে রিজার্ভ বাড়ছে। আগামীতে এটি আরো বাড়বে বলে আমরা মনে করছি।”
সূত্রমতে, গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং হাউস (আকু) পেমেন্ট করার পর রিজার্ভ ১০ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছিল। এরপর টানা দেড় মাস পর এপ্রিল মাসে তা আবার ১০ বিলিয়ন হয়। কিন্তু মে মাসে তা আবার নেমে সাড়ে নয় বিলিয়ন ডলার হয়।
জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর থেকে সর্বশেষ ২৭ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত প্রায় চার মাস এই রিজার্ভ এক হাজার কোটি ডলারের নিচে অবস্থান করে। ফলে দীর্ঘ দিন চাপের মুখে ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রির্জাভ। তারপর সামান্য কয়েক দিন তা ১০ বিলিয়নে অবস্থান করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রির্জার্ভ কমে ৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। অক্টোবর মাসে তা আবার হাজার কোটি ডলার ছাড়ায়। তবে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তা ৯ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছিল।
সূত্র জানিয়েছে, টানা ২২ মাস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে থাকার পর গত সেপ্টেম্বরে তা ৯ বিলিয়নে নেমে আসে। এর পর অক্টোবরে তা আবার ১০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। ।
সূত্র বলছে, রির্জাভের ওপর চাপ থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক সেই সময় থেকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ডলার বিক্রি করছে না। একই সঙ্গে আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পণ্য আনা হচ্ছে তা দেখে ডলার দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আসে। জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা মোট ১২১ কোটি ডলার পাঠায়। ফেব্রুয়ারি মাসে পাঠায় ১১৩ কোটি ডলার। আর সর্বশেষ জুলাই মাসে ১১৯ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে।