বিমান বাংলাদেশ, সৌদি এয়ারলাইন্স ও নাস এয়ারের চূড়ান্ত হজ ফ্লাইট শিডিউল আগামী রোববার (১২ আগস্ট) প্রকাশিত হবে।
বুধবার বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
প্রকাশের দিনই এই শিডিউল মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থাগুলো। মন্ত্রণালয় তা হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (হাব) সরবরাহ করবে।
হজ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে গত মঙ্গলবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানায়। বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছর মোয়ালেম ফি জমা গ্রহণকারী হজ এজেন্সিগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে টিকিট বিক্রি ও বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন তারিখে কোন ফ্লাইটে কতজন যাত্রী পরিবহন করা হবে, তার একটি কর্মপরিকল্পনা শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে হাব।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছর হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই হাজার ৯৬৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ৯ হাজার ৬০৩ জন হজে যাবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের হজ-পূর্ব ফ্লাইট আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২২ অক্টোবর শেষ হবে। এছাড়া হজ-পরবর্তী ফ্লাইট ১ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৯ নভেম্বর শেষ হবে।
সৌদি আরব এয়ারলাইন্স হজ-পূর্ব ফ্লাইট ২১ সেপ্টেম্বর শুরু করে ২২ অক্টোবর শেষ করবে। তারা হজ পরবর্তী ফ্লাইট ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু করে ৩০ নভেম্বর শেষ করবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট হজযাত্রীর অর্ধেক এবং সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স এবং নাস এয়ার মিলে বাকি অর্ধেক পরিবহন করবে। হজযাত্রী পরিবহনে যাতে কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেজন্য সব এয়ারলাইন্স প্রয়োজনীয় ব্যাক-আপ উড়োজাহাজের ব্যবস্থা রাখবে। বাংলাদেশ বিমান প্রতিদিন এক হাজার ৮০০ জন হজযাত্রী এবং সৌদি আরব এয়ারলাইন্স ও নাস এয়ার শিডিউল অনুসারে প্রতিদিন প্রয়োজনীয়সংখ্যক হজযাত্রী পরিবহন করবে।
সভায় জানানো হয়, এ বছর হজে প্রতিজন হজযাত্রী ছয় হাজার ৯০০ সৌদি রিয়াল সঙ্গে নিতে পারবেন। ফেরার সময় অতিরিক্ত সৌদি রিয়াল বা অন্য কোনো দেশের মুদ্রা থাকলে তা ঢাকা বিমানবন্দরে কাস্টম অফিসে নির্দিষ্ট ফরমে ঘোষণা দিতে হবে। এছাড়া প্রতি হজযাত্রী ৩০ কেজি মালামাল (লাগেজ) এবং পাঁচ কেজি ওজনের হ্যান্ড লাগেজ পরিবহন করতে পারবেন। এর বেশি কোনো মালামাল পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হবে না। হজযাত্রীদের বিদায়ের সময়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিজন হজযাত্রীর সঙ্গে দু’জনের অধিক কোনো দর্শনার্থী থাকতে পারবে না।