এমএইচ চৌধুরী সিকিউরিটিজ ৩২ কোটি টাকায় কিনলো স্টান্ডার্ড ব্যাংক

পত্রিকায় টানা ৩ বার বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর অবশেষে ৩২ কোটি ২ লাখ টাকায় বিক্রি হলো এমএইচ চৌধুরী সিকিউরিটিজ হাউজ। হাউজটি কিনেছে স্টান্ডার্ড ব্যাংক।

বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৭১২তম বোর্ড সভায় হাউজটির টেন্ডার হয়। টেন্ডারে কোম্পানিটি সর্বোচ্চ দরে হাউজটি কেনে।

এর আগে ডিএসই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলেও কোনো ক্রেতা হাউজটি ক্রয়ে আগ্রহ দেখায়নি। তখন ডিএসই হাউজটির দাম ৪০ কোটি টাকা বেঁধে দেয়।

জানা যায়, হাউজটি ক্রয় করার জন্য মোট ৭টি দরপত্র জমা পরে। যার মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ৩২ কোটি ২ লাখ, ঢাকা সিকিরিটিজ ২৫ কোটি ৯৬ লাখ, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২৫ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার, প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০ কোটি, ট্রাস্ট ব্যাংক ২৫ কোটি ১০ হাজার, এএনডব্লিউ অ্যাসোসিয়েটস ২৪ কোটি ১ লাখ ১ হাজার এবং ওয়ান ব্যাংক ২২ কোটি টাকা দর দাম বলেছে।

উল্লেখ্য, গ্রাহকদের অর্থ ও সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত হিসেবে বড় ধরনের গড়মিল পাওয়ায় ডিএসই গত ১৩ মার্চ এমএইচ চৌধুরী সিকিউরিটিজের সব ধরনের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে। এমএইচ চৌধুরী সিকিউরিটিজ হাউজে ১০ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট রয়েছে  বলে জানা গেছে।

২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর ডিএসইর এমআইসি বিভাগের তদন্তে দেখা যায়, গত বছর কয়েকজন গ্রাহককে না জানিয়ে তাদের হিসাব থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করে এমএইচ চৌধুরী সিকিউরিটিজ।

এরমধ্যে গ্রাহকদের শেয়ার বিক্রি করা হয় ৫ কোটি ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৬৯৬ টাকা। আর গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধভাবে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৫৬ টাকা সরিয়ে নেয় ব্রোকারেজ হাউজটি।

সব মিলিয়ে গ্রাহকদের প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার শেয়ার ও নগদ অর্থ দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহকদের শেয়ার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৮৭ এর বিধি ৮(এ)(১) ধারা, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক ডিলার, স্টক ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ ও ডিপজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩ সহ মোট ৫টি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।

এমএইচ সিকিউরিটিজের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ডিএসইর মনিটরিং টিম দেখতে পায়, গ্রাহকদের শেয়ার ও অর্থ পরিশোধ তো দূরের কথা প্রতিষ্ঠানটি না জানিয়ে আরো ৬০ জন গ্রাহকের বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে।

গত ১৩ মার্চ ডিএসই এমএইচ চৌধুরী সিকিউরিটিজের লেনদেন স্থগিত করে।

গত ১০ মে গ্রাহকদের পাওনা শেয়ার ও অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী সদস্যপদ বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের আবেদন করেন।

অর্থ বাণিজ্য