আপিল বিভাগেও মধুমতি মডেল টাউন অবৈধ ঘোষণা

আপিল বিভাগেও মধুমতি মডেল টাউন অবৈধ ঘোষণা

রাজধানীর অদূরে সাভারের আমিনবাজারে গড়ে ওঠা মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্পকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

মধুমতি মডেল টাউনের আবেদন খারিজ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আবেদন গ্রহণ করে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে মধুমতি মডেল টাউন কর্তৃপক্ষ এবং প্লট গ্রহীতাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।

বেলার পক্ষে ছিলেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট ইকবাল কবির লিটন।

ইকবাল কবির লিটন জানান, বন্যা-প্রবাহ এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর এবং রাজউকের অনুমোদন ছাড়া মেট্রো মেকার্স ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড মধুমতি মডেল টাউন হাউজিং প্রকল্প গ্রহণ করে। নিচু ভূমি ভরাট করে ওই প্রকল্পে প্লট বিক্রি শুরু করে তারা। এ অবস্থায় প্রকল্পের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৪ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে বেলা।

রিট আবেদনে বলা হয়, বন্যা-প্রবাহ এলাকায় নালা ও নিচু জমি দেখিয়ে মধুমতি মডেল টাউনে গ্রাহকের কাছে প্লট বিক্রি করে। এই গ্রাহকদের প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচশো একর নিচু জমিতে মাটি ভরাট শুরু করে।  অথচ বন্যা-প্রবাহ এলাকায় এই মাটি ভরাট আইনত অবৈধ। এই প্রকল্প গ্রহণের আগে তারা রাজউক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছ থেকে অনুমোদনও নেয়নি।

ওই আবেদনে ভূমি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়, রাজউক ও মেট্রো মেকার্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে বিবাদী করা হয়।

হাইকোর্ট এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের কাজে স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই হাইকোর্ট মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি প্লট গ্রহীতাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।

২০০৬ সালে প্লট গ্রহীতাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বেলা এবং প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে মেট্রো মেকার্স এবং প্লট গ্রহীতারা ২০০৯ সালে আপিল করে।

এ আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার আপিল বিভাগ রায় দেন।

রায়ে প্লট গ্রহীতাদের ব্যাপারে কি বলা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান ইকবাল কবির লিটন।

বাংলাদেশ