রবীন্দ্রসংগীতের বিকল্প চেষ্টা করেন জিয়া: ম খা আলমগীর

রবীন্দ্রসংগীতের বিকল্প চেষ্টা করেন জিয়া: ম খা আলমগীর

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর এমপি বলেছেন, ৬০-এর দশকে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রচর্চা ও রবীন্দ্রসংগীতের উপরে অবরোধ আরোপ করেছিল। পরে বিচারপতি মাহবুব মোর্শেদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা রবীন্দ্র জন্মোৎসব করেছিলাম।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির বীরোত্তম খাজা নিজামউদ্দিন মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক প্রশাসক জিয়াউর রহমান তথাকথিত সাহিত্যিক আলী আহসানের পরামর্শে রবীন্দ্রসংগীতের বিকল্প রচনার জন্য কবি-সাহিত্যিকদের দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি সফল হননি।”

মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, “বিএনপি-জামায়াতের ধারক-বাহকদের জানা উচিৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু ছিলেন না, তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণ।  তিনি ধুতি না পরে পায়জামা পরতেন, দাঁড়ি রেখেছিলেন। তার লেখায় বঙ্কিমচন্দ্রের মতো ধর্মের প্রতি বিভেদ পরিলক্ষিত হয়নি। তিনি বাঙালিদের মাঝে প্রথম অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ বপন করেছিলেন।”

“বিধবা বিবাহের প্রচলনসহ নারী স্বাধীনতার জন্য অনেক সংস্কার তিনি করে গেছেন। তিনি নিজের ছেলেকে এক বিধবা নারীর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন।”

তিনি আরো উল্লেখ করেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংস্কৃতি চর্চা বিত্তবানদের বৈঠকখানা থেকে সাধারণের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সামাজিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতেন। তাই জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। রবীন্দ্রনাথই বাংলায় রেনেঁসার সৃষ্টি করেছিলেন।”

“সারাবিশ্বে বর্তমানে প্রযুক্তি, অর্থনীতি, শ্রম, জ্ঞানপ্রবাহ সীমান্তবিহীন হয়ে গেছে, সেই প্রেরণাও রবীন্দ্রনাথ আমাদের দিয়ে গেছেন”, যোগ করেন ড. আলমগীর।

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এমএ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম, জাসদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মীর আখতার, কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এমএ করিম, বঙ্গবন্ধু সাস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, ফাতেমা জাহান সাথী প্রমুখ।

রাজনীতি