বেতন-বোনাসের দাবিতে বেস্ট এয়ারের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার শামসুদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।
সোমবার বিকেল পৌনে তিনটা পর্যন্ত রাজধানী উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরে নাটোর টাওয়ারে কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ রয়েছেন।
ডেসটিনি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বেস্ট এয়ারের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ক্যাপটেন আনিসুর রহমান বলেন, “আমরা অবরুদ্ধ হয়ে আছি। আমি নিজেও একজন চাকরিজীবী। মালিকপক্ষের লোকজন আমাদের সুইসাইড করার কথা বলেছেন। এটা অত্যন্ত অমানবিক।”
জানা গেছে, এদিন সকালে ডেসটিনি গ্রুপের এয়ারলাইন্স বেস্ট এয়ারের একাধিক কর্মী বেতন-বোনাসের দাবিতে শামসুদ্দিনের কাছে যান। এসময় শামসুদ্দিন বলেন, “তোমাদের বেতন দিতে পারব না। যা ইচ্ছা তোমরা তাই কর।”
ক্ষুব্ধ কর্মীরা বলেন, “আপনারা যদি ঈদের আগে বেতন-বোনাস না দেন, তাহলে আমরা সুইসাইড করব।”
শামসদ্দিন বলেন, “তোমরা সুইসাইড কর, রক্তপাত ঘটাও। আমরা কিছু করতে পারব না।”
সম্প্রতি ডেসটিনির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেস্ট এয়ারের ব্যাংক হিসাবদ জব্দ করে সরকার। প্রায় ২৬০ জন কর্মী কাজ করছেন বেস্ট এয়ার এয়ারলাইন্সে। কেউই বেতন-বোনাস পাননি।
২০১০ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই এয়ারলাইন্সটি কিনে নেয় ডেসটিনি গ্রুপ। এরপর দ্রুততার সঙ্গে অপারেশনে যেতে কাজ শুরু করে। এ পর্যন্ত বেস্ট এয়ার ১২ জন বৈমানিক, ৩৪ জন কেবিন ক্রুসহ সব মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক লোক নিয়োগ দেয়।
গত মে মাসে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালকসহ সবার ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশের পরও বেস্ট এয়ারের কর্মীদের বেতন ভাতা নিয়মিতই হতো।
বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কেবিন ক্রু, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে ২০/২৫ জন কর্মী বেস্ট এয়ার ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কর্মীদের সবাই বেতনের আশায় এক মাস, দুই মাস করে নিদারুণ কষ্টের মধ্য দিয়ে চার-চারটি মাস কাটাচ্ছেন।
ঈদের আগে এই প্রতিষ্ঠানের সবাই যাতে সব বকেয়া বেতনসহ বোনাস পান সেজন্য সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।