যুবকের ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের মানববন্ধন পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে।
সোমবার সকালে প্রায় শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী মানববন্ধন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে জড়ো হতে শুরু করলে পুলিশ তাদের দাঁড়াতেই দেয়নি। পরে তারা ব্যানারসহ মিছিল নিয়ে করতে পল্টনের দিকে চলে যায়।
এ সময় মতিঝিল থানার পরিদর্শক শেখ আবুল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক সংরক্ষিত এলাকা। এখানে এমন কর্মসূচি করার কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া তারা মানববন্ধন করতে পুলিশের পূর্ব-অনুমতি নেয়নি। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, অন্য কোথাও গিয়ে মানববন্ধন করতে।”
এদিকে, মানববন্ধনে অংশ নিতে সকাল থেকে বেশি কিছু বিনিয়োগকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে জড়ো হতে থাকে।
এসময় ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সংগঠনের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা পুলিশকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের এখানে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছি।”
এসময় তিনি আরো বলেন, “অবিলম্বে সদস্যদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। টাকা পরিশোধের সুবিধার্থে সদস্যদের এবং যুবকের পরিচালকমণ্ডলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “কমিশন গঠন করার এক বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু কোনো কিছুই হচ্ছে না। আমরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাইছি।”
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান জানান, যুবকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের যা করণীয় ছিল তা করা হয়েছে। এসংক্রান্ত রিপোর্ট সম্পন্ন করে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তৎকালীন সময়ের গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে চেয়ারম্যান করে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল সে কমিটি তাদের প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। এখন অন্য একটি কমিটি কাজ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ ব্যাপারে আর কিছু করার নেই। পুরো বিষয়টি এখন সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়।”