ফেলিক্স সানচেজ চার বছর ধরে একটি রিস্টব্যান্ড পড়েছিলেন। সিডনি অলিম্পিক গেসসের সমাপনী অনুষ্ঠানে পেয়েছিলেন সেটি। ব্যান্ডটি খুলেছিলেন এথেন্সে অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের পর। ২০০৫ সালে সেটি আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন দাতব্য কাজের তহবিল গড়তে নিলামের জন্য।
ডমিনাকান রিপাবলিকের এই অ্যাথলিট সিডনি অলিম্পিকে ৪০০ মিটার হর্ডলস ইভেন্টে অপ্রত্যাশিত খারাপ পারফরমন্সে করেছিলেন। সেই থেকে তিনি কব্জিতে ব্যান্ডটি পরে থাকেন ভালো করার প্রেরণা পাওয়ার জন্য। এথেন্সে ৪০০ মিটার হার্ডলসে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পেলেন। জিতলেন অলিম্পিক স্বর্ণপদক। বেইজিংয়ে দেশের নেতৃত্ব দিলেও ট্র্যাকের লড়াইয়ে ফেল করেন। তাকে প্রায় বাতিলের তালিকায় ফেলে দেওয়া হয়েছিলো।
৩৪ বছর বয়সী ফেলিক্স লন্ডন অলিম্পিকেও যে জ্বলে উঠতে পারেন তা হয়তো ভাবেননি তার প্রতিদ্বন্দ্বিরাও। সবাইকে বিস্ময় উপহার দিয়ে তিনি বাজিমাত করলেন ৪০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণপদক জিতে। অলিম্পিকের দ্বিতীয় স্বর্ণপদক জিততে তিনি সময় নিয়েছেন ৪৭.৬৩ সেকেন্ড। সাফল্যের এমন দিনে চোখের জল ধরে রাখা সত্যিই কঠিন। ফেলিক্সও পারেননি। পুরস্কারের মঞ্চে আনন্দা অশ্রু ফেলেছেন। লন্ডন অলিম্পিক স্টেডিয়ামের হাজার হাজার দর্শক তাকে অভিবদন জানিয়েছেন দাঁড়িয়ে।
এই ইভেন্টে দ্বিতীয় হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল টিনসলে। ৪৭.৯১ সেকেন্ড সময় লেগেছে তার। তৃতীয় পুরতো রিকোর জাভির কুলসন। ৪৮.১০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন তিনি।