রাজধানীর পোস্তগোলায় অভিযান চালিয়ে ৫০ লাখ টাকার জাল নোট ও জাল টাকা তৈরীর সরঞ্জামাদি, ল্যাপটপ, স্ক্রিন প্রিন্ট জাল টাকাসহ ৭ জনকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এরা হলো- বাবু, নিয়াজ শেখ, ইমদাদুল, জিতু, জহিরুল ইসলাম, শিরিন আক্তার ও শাহনাজ।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জাল টাকা বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার সারা রাত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ২ নম্বর টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবির আটকের ব্যাপারে নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে রোববার বেলা ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলরে আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা দক্ষিণ) লুৎফুল কবির চন্দন।
অভিযানে অংশ নেয়া সহকারী পুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবির চন্দন জানান, এ ব্যাপারে কদমতলী থানায় এসআই গোলাম রসুল বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।
আটককৃত বাবু সাংবাদিকদের জানায়, তিনি ৩ থেকে ৪ বছর ধরে জাল টাকা কারবারের সঙ্গে জড়িত। প্রতিদিন সে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা জাল টাকা তৈরী করে রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে আগত লোকদের দিতো। বর্তমান ঈদ মৌসুমে সে প্রতিদিন ৫ লাখ টাকার জাল নোট তৈরী করে তাদের লোকদের কাছে বাজারজাত করার জন্য দিতো। ইতিমধ্যে সে এক কোটির উপরে জাল নোট বাজারে দিয়েছে।
বাবু আরও জানায়, চট্রগ্রাম থেকে সে ৫০ লাখ টাকা তৈরীর অর্ডার পায়। রোববার অর্ডার ডেলিভেরি করার কথা। এই টাকা বানানোর সময় ডিবি পুলিশ তাকেসহ তার সহযোগীদের আটক করে।
জাল টাকার ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানী জুড়ে সংঘবদ্ধ জাল টাকা তৈরী চক্র কোটি কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছে। এটা যে শুধু রাজধানীতে তা নয় পুরো দেশজুড়েই এদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই টাকা ছড়ানো হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে বাবু হচ্ছে জাল টাকা তৈরির প্রধান কারিগর। মূলত এর নেতৃত্বেই এই গ্রুপটি জাল টাকা বাজারে ছাড়ে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টাকা নেয়ার ক্ষেত্রে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়। মূলত ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার ক্ষেত্রে এ সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়।
এছাড়াও টাকাতে কোনো রকম সন্দেহ হলে নিকটস্থ থানা অথবা ডিবি পুলিশের সহায়তা চাওয়ার ও পরামর্শ দেয়া হয়।