৩ মাসের রেলমন্ত্রী ও ৬ মাসের যোগাযোগ মন্ত্রীর পক্ষে রাতারাতি সবকিছু বদলে ফেলা সম্ভব নয়। তবে আমার আন্তরিকতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করলে কষ্ট পাব। এ কথা বলেছেন যোগাযোগ ও রেলমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আগামী নির্বাচন নিয়ে যে সংকট, সংশয় ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল, তা প্রধানমন্ত্রীর অন্তবর্তী রূপরেখার কারণে কেটে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শেখ কামালের ৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী দল নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে সরকার সমঝোতার যে নতুন দুয়ার খুলেছে তাতে ইতিবাচক সারা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচন নিয়ে যে সংকট, সংশয় ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল, তা প্রধানমন্ত্রীর অন্তবর্তী রূপরেখার কারণে কেটে গেছে। প্রধানমন্ত্রী সমঝোতার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যে রূপরেখার কথা বলেছেন, বিএনপি তা বলছে অস্বচ্ছ। প্রধানমন্ত্রীর ধারণা যদি অস্বচ্ছ হয়ে থাকে, তাহলে তার ধারণার ওপর ভিত্তি করে আপনারা আরো উচ্চ ধারণা নিয়ে আসুন।”
পদ্মাসেতু বিষয়ে তিনি বলেন, “সেতু নির্মাণে মালেশিয়ার চূড়ান্ত প্রস্তাব ৩ সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যাবে। প্রস্তাব চূড়ান্ত হওয়ার পর টেকনিক্যাল কমিটি বিচার-বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
তিনি বলেন, “পদ্মাসেতু নিয়ে অনেকে অহেতুক বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। দেশিয় অর্থায়ন, বিদেশিদের সহযোগিতা এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত উদ্যোগে পদ্মাসেতুর কাজ অতিদ্রত শুরু হবে।”
মন্ত্রী বলেন, “৩ মাসের রেলমন্ত্রী ও ৬ মাসের যোগাযোগ মন্ত্রীর পক্ষে রাতারাতি সবকিছু বদলে ফেলা সম্ভব নয়। তবে আমার আন্তরিকতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করলে কষ্ট পাব।”
তিনি আরো বলেন, “যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য দৈনিক ১৮ ঘণ্টা কাজ করছি। মহাসড়কগুলোকে এরই মধ্যে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। জেলা শহরের রাস্তাগুলোর কাজ ঈদের আগেই শেষ হবে। সিটি কর্পোরেশন এলাকা আমার আওতাভুক্ত না হওয়ায় আমি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবো না। তবে কর্তৃপক্ষকে আমি কাজগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য অনুরোধ করেছি।”
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর চরিত্র হনন করার জন্য বারবার আঘাত করা হয়েছে। তবে মুজিব পরিবারের কারো নামে ব্যাংক ব্যালেন্স এমনকি কোনো দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু এবং শেখ কামাল আমাদের কাছে রোল মডেল।”
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। অনূষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী এমপি।