কুমিল্লা সিটি করপোরেশন(কুসিক) নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে র্যাব।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে র্যাবের ৮’শ সদস্য শহরে টহল শুরু করে। এবং নির্বাচনী কাজে ব্যবহার হচ্ছে এমন গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
এছাড়াও নির্বাচনী কাজে জেলা পুলিশের বাইরে ২ হাজার ২২৭জন পুলিশ সদস্য, ৫০০ আনসার ব্যাটালিয়ন, ৩৬জন ম্যাজিস্ট্রেট, ২৭জন ইসি পর্যবেক্ষক, ৯জন সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা নির্বাচনী কাজে অংশ নিচ্ছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রাত ১২টার আগেই শহরের বাসিন্দা এবং ভোটার নয় এমন সকলকে সিটি করপোরেশন এলাকা ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। ১২টার পরে শহরের সকল আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউজে ম্যাজিস্টেটের নেতৃত্বে তল্লাশি চালাবে পুলিশ। এছাড়া সন্দেজনক বাসা বাড়িতেও পুলিশি তল্লাশি চলবে। তাই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সকল বহিরাগতকে রাত ১২টার আগেই শহর ত্যাগ করার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছে এ নির্বাচনের কোনো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ নয়, সকল কেন্দ্রকে আমার সমান গুরুত্ব দিচ্ছি।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, কমিশনের ৯টি ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের নির্বাচনী অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নির্বচনী প্রচারণা আজ রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে।
এর আগে দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বাঙলানিউজকে বলেন, এ নির্বাচন ইসি খুব গভীর ভাবে দেখছে। বিভিন্ন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে কমিশন জানতে পেরেছে বহিরাগত জাতীয় নেতা-কর্মীরা প্রচারণার নামে মোটর সাইকেল বহর, গাড়ি বহর, মিছিলসহ ভোটার উপঢৌকন দিয়ে আচরণ বিধি মানছেন না। এ প্রেক্ষাপটে বিকেল ৫টার মধ্যে জাতীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের কুমিল্লা ছাড়তে বলা হয়েছে। অন্যথায় নির্বাচন স্থগিত করা হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।