বাংলাদেশের জনগণই ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’-এর প্রকৃত অংশীদার বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এ পুরস্কার শত প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে যেমন বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছে, তেমনি বাংলাদেশের সক্ষমতার ওপর বিশ্ববাসীর আস্থাকে দৃঢ়তর করছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের জনগণই এ পুরস্কারের প্রকৃত অংশীদার।’
আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকোচন, ভ্যাকসিন বৈষম্য প্রভৃতি বিশ্বের অনেক দেশেরই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। এ মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ যে অবিচলভাবে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে, এ পুরস্কার তারই বিশ্ব স্বীকৃতি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জন থেকে আজকের যতো অর্জন, সবই হয়েছে দেশের মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য। আমি দেশের জনগণকে এ পুরস্কার উৎসর্গ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত ২০ সেপ্টেম্বর নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ইউএন সাসটেনঅ্যাবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্কের (এসডিএসএন) পক্ষ থেকে ২০১৫-২০২০ সময়কালে এসডিজি অর্জনে সর্বোচ্চ সাফল্যের জন্য আমাকে ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
সরকারপ্রধান বলেন, এসডিএসএনের প্রেসিডেন্ট প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ প্রফেসর জেফ্রি স্যাক্সের নিকট হতে বাংলাদেশের পক্ষে আমি এ সম্মাননাটি গ্রহণ করি। সম্মাননা প্রদানকালে করোনা মহামারির এ কঠিন সময়ে বাংলাদেশ ও বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য আমাকে ‘জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন’ বলে অভিহিত করা হয়।
তিনি বলেন, প্রফেসর জেফ্রি স্যাক্স তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘আমরা আপনার কথা শুনতে চাই। তার কারণও আছে। আমরা যখন পৃথিবীর দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের অগ্রগতি বিশ্লেষণ করি, তখন দেখতে পাই, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অগ্রগতিতে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ। এ জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য এ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য এ পুরস্কারপ্রাপ্তি বাংলাদেশের এক অনন্য অর্জন।