বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য মসলিনের বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারবো। বিশ্ববাজারে যেতে আমাদের বেশি সময় লাগবে না। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে। আমরা ইতোমধ্যে এর টেকনোলজি রপ্ত করতে পেরেছি।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রূপগঞ্জের তারাবতে ঢাকাই মসলিন হাউস পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিক এ কথা বলেন তিনি।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মসলিনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড। মসলিন উৎপাদনের প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার করে বর্তমানে মসলিন তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে মসলিনের শাড়ি দেখানো হয়েছে। ব্রিটিশ জাদুঘরে যে শাড়িটি পাওয়া গিয়েছিল সেটা ছিল ৫০০ কাউন্ট। এখন ৭০০ কাউন্টের সুতো দিয়ে মসলিন শাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এই ঐতিহ্য আরও কীভাবে উন্নত করা যায় সরকার সে চেষ্টা করছে।
দ্রুত বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে মসলিন: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
মসলিন জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কোয়ালিটি ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশে একটি শাড়ি যদি ৫-১০ লাখ টাকা হয় তাহলে সেটার বিক্রি কম হবে। আমাদের মূল হচ্ছে জনগণ। জনগণের কাছে যদি আমরা পৌঁছে দিতে পারি সেটাই হবে আমাদের বড় সফলতা। তাই আমরা প্রথমে শাড়িটাকে নিয়ে কাজ করবো এবং রপ্তানিসহ সব হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে মসলিনের কাঁচামাল ফুটি কার্পাস খুঁজে বের করা, ফুটি কার্পাসের চাষাবাদ, সুতা উৎপাদন, কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন করে উন্নতমানের মসলিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। মসলিনের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ ও পেটেন্ট অর্জিত হওয়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নানসহ প্রমুখ।