দেশকে লজ্জায় ফেললেন অ্যাথলেট মোহন খান

দেশকে লজ্জায় ফেললেন অ্যাথলেট মোহন খান

উসাইন বোল্ট, ইউহান ব্লেক, টাইসন গে, আসাফা পাওয়েলরা যখন প্রস্তুত হচ্ছেন সর্বকালের সবচেয়ে কম সময়ে ১০০ মিটার দৌড়াতে, সে আসরের প্রাক-বাছাইয়ে বাংলাদেশের দ্রুততম মানব মোহন খান সময় নিয়েছেন ১১.২৫ সেকেন্ড।

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ) কোন মানদন্ড বিচার বিবেচনা না করেই একটি নিমন্ত্রণপত্র যোগার করে ধরেবেঁধে পাঠিয়ে দিলেন একজনকে। তার অভিজ্ঞতা দেশের মঙ্গল বয়ে আনবে কি না তাও বিবেচ্য নয়। সাম্যের গান গাইতে গাইতে চলে যান অলিম্পিক মঞ্চে।

কেমন লজ্জা লজ্জা লাগছে। বাংলাদেশের একজন পুরুষ নারীদের সঙ্গেও দৌড়ে পারেন না! ১০০ মিটারে নারীদের বিশ্ব কেরর্ড ১০.৪৯ সেকেন্ড। অলিম্পিক রেকর্ড ১০.৬২ সেকেন্ড। ১১ সেকেন্ডের নিচে কত নারী যে ১০০ মিটার দৌড়ান তার ইয়ত্তা নেই। বাংলাদেশের দ্রুততম মানব অ্যাথলেটিক্সের প্রাক-যুগকেও হার মানিয়েছেন।

লন্ডন অলিম্পিকের ১০০ মিটার দৌড়ে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে খারাপ পারফরমেন্সও মোহন খানের। পাকিস্তানের দ্রুততম মানব লিয়াকত আলীও প্রাক-বাছাইয়ে ১০.৯০ সেকেন্ড সময়ে শেষ করেছেন। মোহন খানের চেয়ে ০.৩৫ সেকেন্ড কম সময়ে দৌড়েছেন তিনি। নেপালের তিলক রামের অলিম্পিক সময় ১০.৮৫ সেকেন্ড। সবচেয়ে ভালো করেছেন মালদ্বীপের আজনিম আহমেদ। প্রাক-বাছাইয়ে ১০.৭৯ সেকেন্ড সময় নেওয়ায় প্রথম রাউন্ডে দৌড়ানোর সুযোগ পান তিনি। যদিও ইউহান ব্লেকের সঙ্গে হিটে সেরা সময় করতে পারেননি আজনিন। ১০.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন।

আবার ফিরে আসি বাংলাদেশের প্রতিযোগীর বিষয়ে। দেশ থেকে একমাত্র অ্যাথলেট অ্যাথলেটিক্স ইভেন্ট অংশ নেওয়ার জন্য অলিম্পিক গেমসে গিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পক কাউন্সিলের অতিথি হয়ে ভ্রমণে গিয়ে বিশ্বের কাছে মোহন খান দেশকে তুলে ধরলেন ‘স্থির জাতি’ হিসেবে!

 

খেলাধূলা