দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির নায়িকা সামান্থা রুথ প্রভু। তার ক্যারিরের বয়স প্রায় ১১ বছর। গৌতম মেনন পরিচালিত ‘ইয়ে মায়া চেসভ’ সিনেমার মাধ্যমে ২০১০ সালে অভিষেক হয় তার । এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি পেয়েছেন ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান-২’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে।
দক্ষিণী সিনেমার পাশাপাশি এবার বলিউডে প্রবেশ করছেন সামান্থা। এরই মাঝে বেশ কয়েকটি সিনেমার চিত্রনাট্য পড়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে সিনেমার সম্পর্কে এখনো কোনো কিছু প্রকাশ করেননি।
এরই মাঝে আলোচনায় এসেছে সামান্থার পারিশ্রমিকের প্রসঙ্গ। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান-২’ সিনেমায় যা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি, এখন তার থেকে বেশি দাবি করছেন। শোনা যাচ্ছে, সিনেমা পিছু সামান্থা এখন নাকি চার কোটি টাকা পারিশ্রমিক দাবি করছেন।
নাগা চৈতন্যের সঙ্গে চার বছরের দাম্পত্য বিচ্ছেদের পর থেকে টুইটারে সেভাবে সক্রিয় ছিলেন না সামান্থা। তবে সম্প্রতি দুটি পোস্ট করেছেন। এটির মধ্যে একটি হলো বিতর্ক নিয়ে সামান্থার জারি করা বিবৃতি, অন্যটি বিজ্ঞাপন। টুইটারে তাকে নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য মেনে নিতে পারছেন না সামান্থা। তাই নিজেকে ঠিক রাখতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন এই নায়িকা।
কিছুদিন আগে সামান্থার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ এনে বেশকিছু ইউটিউব চ্যানেল ‘ভুয়া ভিডিও’ তৈরি করেছিল। মুহূর্তেই সে সব ভিডিও ভাইরাল হয়।
সেসব ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন অভিনেত্রী। ইউটিউব চ্যানেল ছাড়াও সামান্থার পক্ষ থেকে আইনি নোটিশ পেয়েছেন ভেঙ্কট রাও নামক এক আইনজীবী। কারণ কোনোরকম তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই সামান্থার বিরুদ্ধে গর্ভপাতের অভিযোগ এনেছিলেন এই আইনজীবী।
সামান্থার জনসংযোগ রক্ষাকারীর দাবি, ইউটিউব চ্যানেলগুলো সামান্থার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মিথ্যা খবর প্রচার করে যাচ্ছিল। শুধু জনপ্রিয়তা পাওয়ার লোভে। যেসব ভিডিওতে বলা হয়েছে ‘সামান্থার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এবং গর্ভপাত করার সিদ্ধান্তই তার এবং নাগা চৈতন্যের বিচ্ছেদের’ কারণ।
বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সামান্থা তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন অনেক আগেই। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘বিবাহবিচ্ছেদ খুবই কষ্টদায়ক। আমাকে সামলে ওঠার সময় দেওয়া হয়নি। অনবরত ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি, এ ধরনের কথা বা অন্য কোনো কিছুই আমাকে ভাঙতে পারবে না।’
বিবাহবিচ্ছেদের পর নাগা ও তার পরিবার সামান্থাকে ভরণপোষণের জন্য ২০০ কোটি রুপি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু নায়িকা নাগা ও তার পরিবারের কাছ থেকে তা নিতে রাজি হননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সামান্থার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, সামান্থা এই সম্পর্কটা থেকে শুধু বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা চেয়েছিলেন। বিয়ে ভেঙে গেল। সামান্থা এক টাকাও নেবেন না।