ডিজেলের দামের পরিপ্রেক্ষিতে লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রবিবার (৭ নভেম্বর) উপসচিব মোহা. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি সোমবার (৮ নভেম্বর) প্রকাশ করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত রাতে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে কিলোমিটার প্রতি লঞ্চের ভাড়া ৬০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। শতাংশের হিসাবে যা কম দূরত্বে লঞ্চের ক্ষেত্রে ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ ও বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (নৌরুট, পারমিট, সময়সূচি ও ভাড়া নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৯’ এর বিধি ২৭ মোতাবেক সরকার নৌযানে যাত্রী পরিবহনের জন্য কিলোমিটার প্রতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যাত্রী ভাড়া পুনর্র্নিধারণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নরূপভাবে যাত্রীভাড়া পুনর্নিনির্ধারণ করল-
১. প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ৬০ পয়সা বৃদ্ধি করে ২ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ।
২. প্রথম ১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ০.৬০/-টাকা বৃদ্ধি করে ২.০০/ টাকা নির্ধারণ।
৩. জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা নির্ধারণ।
পুনর্র্নিধারিত এ ভাড়া আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও গত রাতে মতিঝিলে বিআইডিব্লিউটিএ কার্যালয়ে মালিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভাড়া নির্ধারণী বৈঠকে বলা হয়েছিল রবিবার রাত থেকেই ভাড়া কার্যকর।
আগে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া এক টাকা ৭০ পয়সা ছিল। ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। এছাড়া সর্বনিম্ন ভাড়া জনপ্রতি ছিল ১৮ টাকা।
গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্র্নিধারণ করে সরকার। শুক্রবার লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দেন সরকারের কাছে। শনিবারের (৬ নভেম্বর) মধ্যে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ওইদিন বিকেল থেকে লঞ্চ চালানো বন্ধ করে দেন মালিকরা।
ভাড়া বাড়ানোয় গতরাত থেকেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন লঞ্চ মালিকরা।