ব্যাংকঋণের অভাবে সৈয়দপুরের ৫ পাটকল বন্ধের আশঙ্কা

ব্যাংকঋণের অভাবে মৌসুমের শুরুতে মূলধন সংকটে পড়েছে সৈয়দপুরের ৫টি পাটকল। ঋণ না পেলে পাটকলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় পাট ব্যবসায়ী ও পাটকল মালিকরা।

এছাড়া জুটমিলগুলোতে কাঁচাপাট বিক্রি করতে না পেরে সৈয়দপুরের কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ব্যাংকঋণ পেতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় পাট কেনা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে সৈয়দপুরের ইকো জুট মিল, সেলিম জুমিল, সিটি জুট মিল, এনডি জুট মিল ও পোদ্দার জুট মিল কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সৈয়দুপরের ৫টি পাটকলের জন্য বছরে ১০ হাজার মেট্রিক টন কাঁচাপাটের প্রয়োজন হয়। ব্যাংকঋণের সহায়তায় এসব পাটকলে কাঁচাপাট কেনা হয়। আর এসব পাটকল থেকে বস্তা, চট ও সুতালি উৎপাদিত হয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি পাটকলে প্রতিদিন ৬ হাজার পিস বস্তা এবং ১০০ মণ সুতালি উৎপাদন হয়ে থাকে।

সৈয়দপুরের পোদ্দার জুট মিলের পরিচালক রাজু পোদ্দার জানান, এ অঞ্চলের পাটকলগুলোর বেশিরভাগই ব্যাংকঋণের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবছর ব্যাংকঋণের টাকায় এক বছরের কাঁচাপাট কেনা হয়। গত বছরের ব্যাংকঋণ পরিশোধ করে নিয়মানুযায়ী এ বছর আবেদন করলেও ঋণ অনুমোদন হয়নি।

ইকো জুট মিলের স্বত্ত্বাধিকারী সিদ্দিকুল আলম বলেন, ‘ব্যাংকঋণের আশায় আছি। না পেলে কাঁচামাল কেনা সম্ভব হবে না। এতে আমাদের পাশাপাশি প্রান্তিক পাটচাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’

সেলিম জুট মিলের স্বত্ত্বাধিকারী আবুল কাশেম জানান, ব্যাংকঋণ না পাওয়ার প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কেনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে, কাঁচামালের অভাবে মিলটি ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে বন্ধ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

সৈয়দপুরে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অধিকাংশটিতে তারল্য সংকটের কারণে ঋণ অনুমোদনে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জুট মিল মালিকরা।

এবিষয়ে বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের সৈয়দপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকরামুল বারী বাংলানিউজকে জানান, ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন মিললেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাটকল মালিকদের ঋণ দেওয়া হবে।

অর্থ বাণিজ্য