মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার বিজয়ী চার স্বপ্নবাজ

মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার বিজয়ী চার স্বপ্নবাজ

‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার’ হাস্যরস আর আনন্দের এ প্রতিযোগিতা পশ্চিমবঙ্গের মতোই বাংলাদেশে দারুণ জনপ্রিয়। ভারতের জি-বাংলার আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশের সেরা চার প্রতিযোগী আবু হেনা রনি, মোহাম্মদ জামিল হোসেন, ইশতিয়াক নাসির ও আনোয়ারুল আলম সজল। তারা দেশে ফিরেছেন।

বাংলাদেশের এই চার প্রতিযোগী মীরাক্কেল-৬ মওসুমে অংশ নিয়ে দেখিয়েছেন অসাধারণ পারফরমেন্স। মীরাক্কেল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার কারণে তাদের প্রায় একবছর ভারতে থাকতে হয়েছে। দেশে ফেরার পর তারা যার যার এলাকায় পেয়েছেন সংবর্ধনা। বর্তমানে তারা আসন্ন ঈদে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের বিনোদনধর্মী স্কিড নিয়ে পার করছেন ব্যস্ত সময়।

আগামীতে মীরাক্কেলের চার বিজয়ী ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে অভিনয়কেই বেশি গুরুত্ব দিতে চান। টিভিনাটক ও চলচ্চিত্রকে বেছে নিতে চান পথচলার অবলম্বন হিসেবে।

এ প্রসঙ্গে জামিল হোসেন বলেন, মীরাক্কেলে আমরা কাজ করেছি টোটাল পারফরমার  হিসেবে। যারা অভিনয়-নাচ-গান আর উপস্থিত বুদ্ধিতে সমান দক্ষ। বাংলাদেশেও আমরা পারফরমার হিসেবে এগিয়ে যেতে চাই। তবে জোর দিতে চাই অভিয়ের প্রতি। গানের প্রতি আমার এক ধরনের দুর্বলতা থাকায় সম্প্রতি একটি অ্যালবামের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।

অপর বিজয়ী আবু হেনা রনি বললেন, বাংলাদেশের মিডিয়া দিন দিন বড় হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র। নিজেদের যোগ্যতা দিয়েই আমরা সেখানে জায়গা করে নিতে চাই। বাংলাদেশের পারফর্মিং মিডিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখতে চাই।

আরেক বিজয়ী ইশতিয়াক নাসির বললেন, মীরাক্কেলে আমাদের একটিই উদ্দেশ্য ছিল। তা হলো মানুষকে বিনোদন দেওয়া। মীরাক্কেলের মতো বিগ শোতে কাজ করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য হলে মানুষের প্রাণে আনন্দ ছুয়ে দিতে চাই। এছাড়া একজন কোরিওগ্রাফার হিসেবেও আমি কাজ চালিয়ে যেতে চাই।

মীরাক্কেলের অন্যতম বিজয়ী আনোয়ারুল আলম সজল বলেন, আমাদের দেশের ছবিতে একসময় কৌতুক-অভিনেতাদের কদর ছিল। প্রায় প্রতি ছবিতেই দু-একজন কমেডিয়ান থাকতেন। এখন এটি উঠে গেছে বললেই চলে। ওই জায়গা আবার তৈরি করতে আমি ভূমিকা পালন করতে চাই।

বিনোদন