শ্রীলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ (এসএলপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলার জন্য ছাড়পত্র পাচ্ছেন জাতীয় দলের পাঁচ ক্রিকেটার। তাদের এনওসি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সভায়।
বাংলাদেশ থেকে এসএলপিএলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন ও ইলিয়াস সানি। তবে তারা কতদিন খেলতে পারবেন তা ঠিক করে দেবে বোর্ড। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজ বাংলানিউজকে বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তারা সেখানে খেলতে পারবে। কারণ ৩০ আগস্ট ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোতে যাবে দল। বিশ্বকাপের জন্যও প্রস্তুতি আছে।’
ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির সভায় যে বিষয়টি নিয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে তাহলো ফ্রেঞ্চাইজি চারদিনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। বিসিবি সভাপতি খুব করে চাচ্ছেন চারদিনের ম্যাচের একটি টুর্নামেন্ট করবেন যেখানে ফ্রেঞ্চাইজিরা দল পরিচালনা করবে। কিন্তু দেশে অনেক খেলা থাকায় চারদিনের ম্যাচের আরেকটি টুর্নামেন্টের জন্য জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না কর্মকর্তারা। এবিষয়ে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘একসঙ্গে দুটি চারদিনের টুর্নামেন্ট করার মতো যথেষ্ট মাঠ আমাদের হাতে নেই। মানসম্পন্ন খেলোয়াড় পাওয়া যাবে না। সর্বপরি এখন যে খেলাগুলো হয় আমাদের দেশে, তার সঙ্গে আরেকটি টুর্নামেন্ট যোগ হলে সময় দেওয়া যাবে না। সেজন্য ৬ তারিখের (আগস্ট) বোর্ড সভায় আমরা সুপারিশ করবো জাতীয় লিগে ফ্রেঞ্চাইজিদের নিয়ে আসার জন্য। সেটা সম্ভব হলে ছয়টি দলের জায়গায় আটটি দলের ফ্রেঞ্চাইজি খুঁজতে হবে। আমাদের প্রস্তাব থাকবে বোর্ডের কাছে বোর্ড বাকি সিদ্ধান্ত নিবে।’
এদিকে বুধবারের সভায় আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়। বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয় লিগ শুরুর ব্যাপরে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিপিএলের আগ পর্যন্ত খেলা চলবে। তিনি বলেন, ‘নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসবে। তার আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয় লিগ করার ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। পরে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও জাতীয় লিগের খেলা বন্ধ হবে না।’
জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরের খেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। বিপিএল শেষ হবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। এরপরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলা শুরু মার্চ থেকে। ওই সময়ে জাতীয় দল থাকবে শ্রীলঙ্কা সফরে। এপ্রিলে জিম্বাবুয়েতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাবে জাতীয় দল। সেজন্য পুল বাতিলের জন্য বোর্ডের কাছে সুপারিশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এনায়েত হোসেন সিরাজ বলেন, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা না থাকলে পুল করে লাভ কী? তাই পুল তুলে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে জিম্বাবুয়ে যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলো তার ব্যবস্থা করতে পারবে না বোর্ড। ক্রিকেট জিম্বাবুয়ের কাছে অপারগতা প্রকাশ করা হবে বলে জানান এনায়েত হোসেন।
৬ আগস্ট বিসিবি কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। ওই সভায় বিপিএল ফ্রেঞ্চাইজিদের বিষয়েও আলোচনা হবে।