গাড়ি পোড়ানোর মামলায় জামিন পেলেন খোকা

গাড়ি পোড়ানোর মামলায় জামিন পেলেন খোকা

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় জামিন পেয়েছেন ঢাকার সাবেক মেয়র ও  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাদেক হোসেন খোকা।

গত ৩১ জুলাই গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলীয় জোট নেতাদের অভিযোগ গঠিত হলে খোকা অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঢাকার ৫ নম্বর দ্রুত বিচার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক হারুন-অর রশিদ এ জামিন মঞ্জুর করেন।

ওইদিন চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে ফখরুলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। আগামি ৭ আগষ্ট সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য আছে।

আসামিপক্ষে জামিনের আবেদন করেন ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. বোরহান উদ্দিন।

শুনানিতে তিনি বলেন, খোকা উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়েই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। চিকিৎসা শেষে বুধবার রাতে দেশে ফিরে আসেন। যেহেতু তিনি এ মামলায় জামিনে রয়েছেন তাই তিনি খোকার জামিন বহাল রাখার আবেদন করেছেন।

এ মামলার ৪৬ আসামির মধ্যে মির্জা ফখরুলসহ ৩৯ জন আসামিই জামিনে আছেন। চারজন পলাতক ও তিনজন কারাগারে আটক আছেন।

মির্জা ফখরুল ছাড়া এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার,  স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহ, সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) অলি আহমেদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রদলের সাবেক নেতা কামরুজ্জামান রতন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, স্বনির্ভর সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সংসদ সদস্য ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, ঢাকা মহানগর যুবদলের সেক্রেটারী রফিকুল ইসলাম মজনু, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক ইয়াসিন আলী,  যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব,  জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আঃ মতিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক কামাল আনোয়ার আহমেদ লিটু, বিএনপি নেতা ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আবুল বাসার, বিএনপি নেতা ও ৪০ নং ওয়ার্ড কমিশনার আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানা বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান ওরফে এল রহমান, বিএনপির সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নবী সোলায়মান, খিলগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কমিশনার ইউনুস মৃধা, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল খান শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দল মোহাম্মাদপুর থানা শাখার সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীন, ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার যুগ্ম-সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির।

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল হোসেন, ঢাকা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, ছাত্রশিবিরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার ওরফে জসিম মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

গত ১০ মে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটিতে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরপর ২৭ মে ছাত্রশিবির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বারকে আসামি করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হয়।

রাজনীতি