মোহাম্মদ আশরাফুল, তামিম ইকবালরা তো ক্রিকেটই খেলেন। তাদের মাধ্যমে মাঠের পরিবেশ কলুষিত হতে দেখা অবাক হওয়ার নয়। অস্বাভাকি নয়। জাতীয় দলের এই দুই ক্রিকেটার প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে অসংলগ্ন আচরণ দেখালেন। কথা চালাচালির একপর্যায়ে হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হয়। তামিমের ক্রধ এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিলো আরেকটু হলে আশরাফুলের গলা টিপে ধরতেন! ভাগ্যিস আম্পায়ার আশরাফুলকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। অগ্রজের প্রতি তামিমের একি সম্মান!
তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে লঙ্কাকান্ড হয়ে যাবে ভাবাও যায়নি। ঘটনার সূত্রপাত মাঠের বাইরে, ওল্ডডিওএইচএস’র ক্রিকেটার ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সের এলবিডব্লু আউট নিয়ে আপত্তি করলে ভিক্টোরিয়ার তাবু থেকে তাদের ক্রিকেট কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান বাদল উত্যাক্ত করেন। আশরাফুল ওই দৃশ্য আম্পায়ারকে দেখালে তেলেবেগুণে জ্বলে উঠেন ভিক্টোরিয়ার ব্যাটসম্যান তামিম। এককথায় দুইকথায় তামিম ইকবাল আশরাফুলের ওপর চড়াও হন।
খেলার মাঠে অসংযত হওয়ার অপরাধে তামিমকে পরের ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেট কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান বাদলকেও একম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।
তামিমেরও উপলব্ধি হয়েছে আশরাফুলের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের ওপর ওভাবে চড়াউ হওয়া ঠিক হয়নি,‘এটা ঠিক আমি অনেক আক্রমণাত্মক ছিলাম। যা হয়েছে তা খেলার মাঠেই থাকবে। খেলা শেষে আমি আশরাফুল ভাইয়ের কাছে দুঃখ (সরি) প্রকাশ করেছি। আমার সঙ্গে যে কয়জন ক্রিকেটারের সুসম্পর্ক আছে আশরাফুল ভাই তাদের একজন। আমিও নিশ্চিত আশরাফুল ভাই ওই ঘটনা মনে রাখবেন না।”
যদিও তামিমের দাবি আশরাফুলই আগে অশালীন হয়েছে,“আমি উনাকে বলেছি ভাই মাঠের বাইরে যা হয় হোক আমরা ক্রিকেট খেলি। এরপরই তিনি আমাকে খারাপ কথা বলেন। এরপরই না আমি রেগেছি। একজন সিনিয়র ক্রিকেটারেরও তো কথাবার্তায় দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ, তাই না।’