ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঋণদানের আহবান

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ঋণদানের আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

বিএমবিএ নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার সকালে পূর্বাণী হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সরকার প্রণীত স্কিম বাস্তবায়নের জন্য ১০ শতাংশ সুদে ৯০০ কোটি টাকার সহায়তা চেয়েছে।

এ সময় বিএমবিএ সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ, সহ-সভাপতি তানজিল চৌধুরী, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্তার হোসেন সান্নামতসহ মার্চেন্ট ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ এ হাফিজ বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বিভিন্ন গ্রাহককে মার্জিণ ঋণ হিসেবে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রদান করেছে।

সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সর্বমোট ৪১ হাজার ৯৯২জন বিনিয়োগকারীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে। আর এতে ৬৫ কোটি ১১ লাখ টাকার সুদ মওকুফ করতে হবে। আর ৬৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার সুদ পুণঃতফসিলিকরণ করতে হবে।

এছাড়া এক প্রক্রিয়াতে ১০ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগ রয়েছে এমন বিনিয়োগকারীদের মোট ৯১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার মার্জিন ঋণ ও পুনঃতফসিলিকরণ করতে হবে বলে জানান তিনি।

একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ প্রদানকল্পে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমোদনযোগ্য ব্যয় হিসেবে প্রদর্শন করার নির্দেশনা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

তবে এসব সুবিধা না দেওয়া হলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো স্কিম বাস্তবায়ন করবে কিনা জানতে চাইলে তানজিল চৌধুরী বলেন, আসলে দুই দিক দিয়েই মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

একদিকে মূল ব্যাংকের সুদের টাকা দিতে হচ্ছে- আবার গ্রাহকের সুদও মওকুফ করতে হচ্ছে। তাই এমন অবস্থায় মার্চেন্ট ব্যাংক নিজই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই আমাদেরকে সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের সহায়তা দেওয়া হলে তা পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় ভুমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কি কারণে যথেচ্ছ মার্জিন ঋণ দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কসমোপলিটন ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরিব জাহিদ বলেন, মূলত ওই সময় সরকারের পক্ষ থেকে মার্জিন ঋণ সংক্রান্ত তেমন কোনো দিক নির্দেশনা ছিল না।

অনেক ক্ষেত্রে রেশিও অনুসারে ঋণ না দিলে রেগুলেটরদের পক্ষ থেকে ঋণ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। আবার যখন শেয়ার বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করা প্রয়োজন ছিল তখন তা করতে দেওয়া হয়নি। আর এ কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

 

অর্থ বাণিজ্য